খাবারের প্রতি বাড়তি টান থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। ফাস্টফুডের দোকান কিংবা এগরোল, পিৎজা দেখলে নিজেকে আর সামলানো প্রকৃত অর্থে কঠিনই। কিন্তু এসবে আনন্দ খুঁজে পেলেও অন্তরালে আছে আঁতকে ওঠার মতো সতর্কবাণী। জিভে পানি চলে আসা এসব খাবার ডেকে আনতে পারে ক্যানসার।
চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার স্থূলতার মতো সমস্যা ডেকে আনে। আর তা থেকে বাড়তে পারে ক্যানসারের আশঙ্কা। এ খাবারগুলো বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়ের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার খেলে দেহে এমন এক ধরনের ফ্যাট বাড়ে, যার ফলে বেশ কিছু হরমোনের কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। তাতেই বাড়ে ক্যানসারের ঝুঁকি।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শহরের নারীরা স্থূলতা সমস্যায় বেশি ভোগে। একই হারে প্রতি বছর বাড়ছে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যাও। প্রতি বছর হাজার হাজার নারী নতুনভাবে আক্রান্ত হচ্ছে স্তন ক্যানসারে। এ ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যাও শহরে বেশি। চর্বি, তেল ও মসলাজাতীয় খাবার শহুরে মানুষরা বেশি খায়। কম বয়সেই অনেকে আবার বাইরের খাবারে আসক্ত হয়ে পড়েন। ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ চর্বিজাতীয় খাবার খেলে বেশি হয়। ফলে স্তন ও ওভারি ক্যানসারের ঝুঁকি দেখা যায়।
তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ঋতুস্রাব হলেও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে বলে মনে করেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অতিরিক্ত ঋতুস্রাবের ফলে দেহে ইস্ট্রোজেনের বাড়তি ক্ষরণ হয়। ১৩ বছরের আগে ঋতুস াব শুরু হলে এবং পঞ্চাশের পর বন্ধ না হলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকতে পারে। তবে সন্তান হওয়ার পর স্তন পান করলে ঝুঁকি কিছুটা কমে।
দীর্ঘদিন ধরে ফ্রান্স, ডেনমার্ক, হাঙ্গেরিসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে ‘ফ্যাট ট্যাক্স’ চালু রয়েছে। মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে এ ধরনের সমস্যার সমাধান করা যাবে না।
শৈশবেই ফাস্টফুডের ক্ষতিকর দিকগুলো জানতে পারলে বাচ্চারা সচেতন হতে পারবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
Add Comment