জাতীয় প্রতীক দিয়ে শিল্প-নকশা করা যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের জাতীয় প্রতীক দিয়ে কোনো শিল্প-নকশা করা যাবে না। নকশা করা হলেও মালিকানাস্বত্ব মিলবে না। এমন বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন, ২০২২’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান। তিনি বলেন, খসড়া আইনটি কিছুদিন আগে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। আইপিআর (মেধা সম্পত্তি অধিকার) কর্মসূচির আওতায় ডব্লিউআইপিও (ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন) কর্তৃক এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য মেধা সম্পদ যাতে সংরক্ষণ করা যায়, সে জন্য একটা মডেল করা দরকার। তার জন্যই আমাদের ১৯১১ সালের যে প্যাটেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন অ্যাক্ট ছিল সেটাকে আধুনিক করে নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কিছু শিল্প নকশা এ আইনের অধীনে সুরক্ষা পাবে। আবার কিছু কিছু পাবে না। অনিবন্ধিত কোনো কিছুর নকশা থাকে, এটার রেজিস্ট্রেশন করলাম না কিন্তু শিল্প চালাচ্ছি, মুনাফা করছি। তখন অন্য কেউ যদি এটা করে, তখন সে দরখাস্ত দিতে পারবে না। কারণ, তুমি তো রেজিস্ট্রেশনই করোনি।

খসড়া আইন অনুযায়ী জাতীয় প্রতীকের সমন্বয়ে গঠিত কোনো শিল্প নকশার মালিকানাস্বত্ব দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, যেমন শাপলা ফুল দিয়ে কেউ একটা নকশা করে বলল এটা আমার প্রোপার্টি রাইট (স্বত্ব), এটা (স্বত্ব) দেয়া হবে না। কেউ বাঘ দিয়ে, কাঁঠাল দিয়ে নকশা করল, সেটা হবে না। কারণ এগুলো আমাদের জাতীয় নকশা। ‘পাশাপাশি কোনো শিল্প নকশার স্বত্বাধিকারী তার নিবন্ধিত শিল্প নকশা অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহার করা হতে নিবৃত্ত করার অধিকার থাকবে। আমি যদি সঠিকভাবে কোনো নকশার স্বত্ব নিই, তবে কেউ সেটা ব্যবহার করতে চাইলে অনুমতি নিতে হবে।’ কোনো ব্যক্তি চাইলে খসড়া আইন অনুযায়ী তার শিল্প-নকশা বাতিল করারও অধিকার পাবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০