বেতন কর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধনে বেসরকারি শিক্ষকরা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের ১০ শতাংশ কর্তনে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

কর্মসূচি পালনকালে বেতনের ১০ শতাংশ কর্তনে গত ১৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রত্যাহার না করা হলে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দেন শিক্ষক নেতারা।

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের দাবিতে আমাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য কিছু সংখ্যক সরকারি তোষামোদকারী শিক্ষক নেতা নতুন করে একটা প্রজ্ঞাপন জারি করল, সেই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হলো, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ

অবসর ও কল্যাণ ভাতা খাতে কেটে নেওয়া হবে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকরা জানান, প্রজ্ঞাপনের আগে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে দুই শতাংশ কল্যাণ ট্রাস্ট ও চার শতাংশ অবসর বোর্ড খাতে কেটে নেওয়া হতো। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসারে দুই শতাংশ করে বাড়িয়ে মোট ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তকে ‘অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই শিক্ষকরা মেনে নিতে পারেন না। আমাদের কথা বিবেচনা করে, আমাদের বাস্তবতার কথা চিন্তা করে তিন দিনের মধ্যে এই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করুন।

শিক্ষক সমিতির নেতা আবু বকর বলেন, যে খাতে আমাদের বৈশাখী ভাতা দেওয়া হচ্ছে না, যে খাতে আমাদের বেতনের পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে না, যেখানে আমাদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দেওয়া হচ্ছে না, যেখানে শিক্ষাকে জাতীয়করণের লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করছি, সেই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে কিছুসংখ্যক শিক্ষক নেতা সরকারকে প্ররোচনা দিয়ে, বিভ্রান্ত করে এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।

শিক্ষাকে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষানীতিতে বলা আছে, সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের কথা কিন্তু এই সরকার শিক্ষানীতিকে উপেক্ষা করাই সরকারি-বেসরকারি শিক্ষার বৈষম্য আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। কিছুসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করে শিক্ষাকে বিভ্রান্তের পথে ফেলে দিচ্ছে। আমাদের বাদ দিয়ে কিছুসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।

বিচ্ছিন্নভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ নয়, পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণের দাবি জানান শিক্ষক নেতারা।

আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার না করা হলে দেশের এমপিওভুক্ত পাঁচ লাখ শিক্ষক পথে নামবেন এই সরকারের বিরুদ্ধে, এই বেআইনি প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম, সহসভাপতি রঞ্জিত কুমার সাহা প্রমুখ।

 

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০