নিজস্ব প্রতিবেদক : ইউরিয়া সারের দাম বাড়ানোকে কেন্দ্র করে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে সারের দাম বৃদ্ধি, মজুতসহ সার্বিক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় বিএনপিসহ বাম দলগুলোর প্রতিক্রিয়ারও সমালোচনা করেন কৃষিমন্ত্রী।
সারের দাম বাড়ার পরও কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়বে না দাবি করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইউরিয়ার দাম বৃদ্ধিতে ফসল উৎপাদনেও নেতিবাচক প্রভাবে পড়বে না।
মন্ত্রী বলেন, চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় দেশে ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যয়ে প্রতি কেজি ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়ার সারের বর্তমান দাম ৮১ টাকা। ৬ টাকা দাম বাড়ানোর পরও সরকারকে প্রতি কেজিতে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহারে কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়বে না বলেও মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা লক্ষ করছি সারের দাম বাড়ায় বিএনপিসহ কিছু বাম দল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এটি তাদের চরম নির্লজ্জতার প্রমাণ বলে আমি মনে করি। তারা বাস্তব অবস্থা বিবেচনা না করেই সমালোচনা করছে।
তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলে সারসহ কৃষি উপকরণের চরম সংকট ছিল। তারা কৃষককে সার দিতে না পেরে পালিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছে। সারের জন্য বিএনপি সরকার ১৯৯৫ সালে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল।