প্রতিনিধি, পঞ্চগড়: বৈদেশিক রেমিট্যান্স গ্রাহক সম্মেলনের মাধ্যমে রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়া হয়েছে। গতকাল সোনালী ব্যাংকের পঞ্চগড় শাখা ব্যাংক কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ঠাকুরগাঁও প্রিন্সিপাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. হাশমত আলী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সোনালী ব্যাংকের পঞ্চগড় শাখার ব্যবস্থাপক রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার একেএম মতিয়ার রহমানসহ বিভিন্ন শাখার প্রধান, পঞ্চগড় জেলা থেকে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত রেমিট্যান্স পাঠানো ৫০ জন প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
সোনালী ব্যাংকের পঞ্চগড় শাখার ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম জানান, গত অর্থবছরে এ শাখায় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা রেমিট্যান্স এসেছে।
সভা শেষে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠানো রেমিট্যান্স যোদ্ধা তাজিজুল ইসলামের পক্ষে নুর ইসলাম, খাদিজা সরকার লাকির পক্ষে সিরাজুল ইসলাম সুজন এবং নিউইয়র্ক প্রবাসী ফজলে রাব্বি ও তার পরিবারের সদস্য আনোয়ার হোসেনের হাতে ক্রেস্ট ও পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
এর আগে জেলা শহরের হাজী ছফিরউদ্দীন আহম্মদ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে বেতন, ভর্তি ফি, পরীক্ষা ফিসহ বিভিন্ন চার্জ আদায় কার্যক্রমের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।এ সময় হাজী ছফিরউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরন নাহার ও পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, এ চুক্তির মাধ্যমে ওই দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফ্রি ফি কালেকশন সফটওয়্যার, ফ্রি পেমেন্ট গেটওয়ে ইন্টিগ্রেশন, মাত্র ৫ টাকা সার্ভিস চার্জে যে কোনো পরিমাণ ফি পরিশোধ, বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে পেমেন্ট সম্পন্ন করা, যে কোনো ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করে ফি পরিশোধ সুবিধাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা এবং ডেটাবেজ মেইটেন্যান্স খরচ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাশমত আলী জানান, এ চুক্তির মাধ্যমে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের সব ফি ব্যাংকের মাধ্যমে ডিজিটাল ডিভাইসের সম্পন্ন হবে। এর ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ডেটা এন্ট্রির ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবে। চুক্তি সম্পাদনের পর শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি হলে আগামী এক মাসের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের লেনদেন সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে চালু হবে।