নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ায় সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে; একইসঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন ৫৯ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে গত সপ্তাহের বাজার মূলধন বেড়েছে চার দশমিক ৩৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে, আর গত সপ্তাহেও পাঁচ কার্যদিবস লেনদেন হয়।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৩১ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৩১২ দশমিক ২৫ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৬৬ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ১২ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৩৭৫ দশমিক ১৯ পয়েন্টে পৌঁছায়। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ১১৯ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ২৬৫ দশমিক ২০ পয়েন্টে স্থির হয়। মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭৩টির, কমেছে সাতটির এবং অপরিবর্তিত ছিল আটটি কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হয়নি সাতটির। দৈনিক গড় লেনদেন হয় এক হাজার ১১ কোটি ৭২ লাখ ৮৫ হাজার ৬১৬ টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয় ৬৩৩ কোটি ৮৩ লাখ ৯৬ হাজার ৪৬০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৫৯ দশমিক ৬২ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট টার্নওভার বা লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ হাজার ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৭৮ টাকা, আগের সপ্তাহে যা ছিল তিন হাজার ১৬৯ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৩০১ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার বেড়েছে, যা শতাংশের হিসেবে ৫৯ দশমিক ৬২ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে থাকা মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৩২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ২৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনসের ২৬ দশমিক ৩৬, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলসের ২৬ দশমিক ০৫, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ২৪ দশমিক ২৬, ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ২৩ দশমিক ৯৪, গ্লোবাল হেভী কেমিক্যালসের ২৩ দশমিক ৩২, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ২৩ দশমিক ১৭, ফাস ফাইন্যান্সের ২৩ দশমিক ০৮ এবং হা ওয়েল টেক্সটাইলসের ২২ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো)। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২ কোটি ৯৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪০৩টি শেয়ার ৩৬২ কোটি ৬০ লাখ ৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর লেনদেনের এ তালিকায় পরের অবস্থানে উঠে আসা ফরচুন শুজ লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে ১৯৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। লেনদেনের এ তালিকার পরের অবস্থানে উঠে আসা যথাক্রমে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের ১৫১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ শতাংশ। মালেক স্পিনিং মিলসের ১৪৭ কোটি ৯০ লাখ টাকার লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৯২ শতাংশ। ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ১৩২ কোটি ৮৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ১১৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৩০ শতাংশ। আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৯২ কোটি ৫১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের ৮৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। মতিন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ৮৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। কেডিএস অ্যাকসেসরিজ লিমিটেডের ৭৯ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ