শেয়ার বিজ ডেস্ক: গাজায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) সদস্যদের লক্ষ করে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০৩ জন। খবর: আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানায়, নিহতদের মধ্যে ছয় শিশু এবং তাইসির জাবেরি ও খালেদ মনসুরসহ পিআইজের একাধিক সদস্য রয়েছেন। গত শনিবার গাজার দক্ষিণে রাফায় একটি বাড়িতে বিমান হামলা চালিয়ে পিআইজের জ্যেষ্ঠ নেতা খালেদ মনসুরকে হত্যার কথা জানিয়েছে ইসরাইল। দেশটির সেনাবাহিনী এর আগে তাকে পাঁচবার হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার থেকে ইসরাইলের দিকেও ফিলিস্তিনিরা চারশ’র মতো রকেট ও মর্টারের গোলা ছুড়ে বলে ইসরাইলের এক কর্মকর্তা জানান। তেল আবিব জানায়, পিআইজের ‘হুমকি’ মোকাবিলায় তাদের এই অভিযানে নামতে হয়েছে। গত বছরের মে মাসের ১১ দিনের সংঘর্ষে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি ও ডজনখানেক ইসরাইলি নিহত হওয়ার পর গাজায় এবারের সংঘাতকে সবচেয়ে তীব্র বলা হচ্ছে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানায়, ‘ব্রেকিং ডন’ নামের এ অভিযান সপ্তাহখানেক চলতে পারে। গাজায় হামলার পাশাপাশি দখলকৃত পশ্চিম তীর থেকে পিআইজের ১৯ সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
ফিলিস্তিনের দিক থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে পারে, এই সতর্কতায় গত শনিবারও ইসরাইলের অনেক শহরে সাইরেনের শব্দ শোনা যায়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর জন্য ‘ইসরাইলি আগ্রাসনকে’ দায় দিয়ে তেল আবিবের হামলায় এখন পর্যন্ত ২০৩ জন আহত হয়েছে বলে জানায়।
পিআইজের সঙ্গে আদর্শে মিল ও মাঝেমধ্যে সমন্বিত কার্যক্রম চালালেও গাজার সবচেয়ে বড় গোষ্ঠী হামাসকে এবার এখন পর্যন্ত ইসরাইলের দিকে তাদের বিশাল অস্ত্রভাণ্ডার থেকে রকেট ছুড়তে দেখা যায়নি। যে কারণে ইসরাইলের বিমানগুলোও এ দফায় হামাসের লক্ষ্যে কোনো আঘাত হানেনি বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ‘প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো’ ঐক্যবদ্ধ। তবে তারা গাজা শাসন করায় সহিংসতার পরিমাণ তীব্র হলে তা ভূখণ্ডটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়াবে, এ বিবেচনা থেকেই সম্ভবত পিআইজে-ইসরাইল সংঘাতে সরাসরি যুক্ত হচ্ছে না। অবশ্য ইসরাইলের হামলায় বেসামরিকদের মৃত্যু বাড়তে থাকলে এই হিসাব বদলেও যেতে পারে।