প্রতিনিধি,পীরগঞ্জ (রংপুর) : রংপুরের পীরগঞ্জে এসিড নিক্ষেপে নববধূ খাদিজা বেগম (৩৫) আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার পড়ন্ত বিকালে চতরা বন্দরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী সাদ্দামসহ স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে আসেন খাদিজাকে। খাদিজা বেগম উপজেলার জাফরপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের কন্যা। দুই মাস পূর্বে খাদিজার বিয়ে হয় চতরা ইউনিয়নের কাঁটাদুয়ার গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের সাথে।
সাদ্দাম হোসেন জানান, বুধবার বিকালে আমরা দুজন কিছু কেনাকাটা করার জন্য চতরা বন্দরে আসি। আমার স্ত্রীকে বোরকার দোকানে বোরকা দেখতে বলে আমি একটা জরুরি কাজে বন্দরের আরেক মাথায় যাই। খাদিজার ফোন পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি নয়াপাড়া গ্রামের দর্জির দোকানদার আব্দুর রহিমের পুত্র শাহিন মিয়া প্রকাশ্যে মারধর করছে। আমাকেও সে মারধর করে এবং আমার স্ত্রীকে দিনের বেলায় সবার উপস্থিতিতে এসিড নিক্ষেপ করে। সাদ্দাম আরও জানান, নয়া মিয়ার দোকানে আমার স্ত্রী বিয়ের আগে কাজ করতেন। ভুক্তভোগী খাদিজা বেগম বলেন, আমার স্বামী আমাকে নিয়ে কেনাকাটা করার এক পর্যায়ে তার জরুরি কাজ থাকায় একটু দূরে যাওয়ার পরপরই নয়া মিয়া আমার কাছে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রকাশ্যে সে আমাকে আমার স্বামীর সংসার ভাঙার হুমকিও দেয়। আমার স্বামীকে ফোন দিলে আসতে দেরি করায় আমি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তার দোকানের সামনে আমাকে এসিড নিক্ষেপ করে। আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এলেও সে সবার উপস্থিতিতে আমাকে মারধর করে। আমার স্বামীকেও অনেক হুমকি-ধমকি দেয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে মোটরসাইকেলযোগে প্রথমে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
পীরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম রিমন জানান, এসিডদগ্ধ খাদিজা বেগম বর্তমানে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার ডান দিকের ঘাড় এসিডদগ্ধ হয়েছে। তবে বোরকার কারণে মুখমন্ডল দগ্ধ হয়নি।
পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল বলেন, এসিড নিক্ষেপের ঘটনার শিকার খাদিজা বেগম ও স্বামী সাদ্দাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি; মৌখিক তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসন ভিকটিমের চিকিৎসা ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।