চীনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান তাইওয়ানের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীন চলতি সপ্তাহে তাইওয়ান নিয়ে এক শ্বেতপত্রে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ মডেল উত্থাপন করে। এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে তাইওয়ান সরকার। খবর: রয়টার্স।

তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রয়টার্স জানায়, চীন বুধবার ‘‘দ্য তাইওয়ান কোশ্চেন অ্যান্ড চায়না’স রিইউনিফিকেশন ইন দ্য নিউ এরা’’ শীর্ষক নতুন ওই শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। এতে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি তাইওয়ানকে হংকংয়ের মত ‘এক দেশ, দুই নীতি’ মডেল প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবে ‘গণতান্ত্রিকভাবে স্বশাসিত দ্বীপ’ তাইওয়ানের সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা আংশিক রক্ষণাবেক্ষণে কিছু স্বায়ত্তশাসনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।

এর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জোয়ান ওউ রাজধানী তাইপেতে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, কেবল তাইওয়ানের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। তাইওয়ানের জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরকে ইস্যু বানিয়েছে চীন। এ ইস্যুকে তারা ‘নতুন স্বাভাবিক অবস্থা’ তৈরির অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এর আগে তাইওয়ানের সব প্রধান রাজনৈতিক দল চীনের ওই ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ প্রস্তাব নাকচ করেছে। সব জনমত জরিপেও দেখা গেছে, তাইওয়ানের বাসিন্দাদেরও প্রস্তাবটি পছন্দ নয়। দেশটির ‘মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল’ নতুন শ্বেতপত্রের নিন্দা করে জানিয়েছে, ‘এটি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যায় ভরা চিন্তাভাবনা ও বাস্তবকে উপেক্ষা করা’ এবং এটাই চীন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি চীনের কঠোর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফর করেন। এ ঘটনার জেরে তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। এ মহড়াকে ‘পুনর্মিলন কার্যক্রমের’ অনুশীলন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বেইজিং। এরপর তাইওয়ান জানায়, এ মহড়া জাতিসংঘের নিয়মের লঙ্ঘন। ওদিকে বেইজিং দাবি করে, তাইওয়ান তার ভূখণ্ডের অংশ। প্রয়োজন হলে শক্তি প্রয়োগ করা হবে দখলের জন্য। দেশটির অনেক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০