হিলিতে খালাসের অপেক্ষায় শত শত মেট্রিক টন চাল

প্রতিনিধি, হিলি: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে শত শত মেট্রিক টন চালবোঝায় ট্রাক। শুল্ককর কমানোর আশায় এসব চাল খালাস হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তারা আরও জানান, চালগুলো খালাস হলে বাজারে চালের দাম অনেকটাই কমে যাবে।

সরেজমিন গতকাল বন্দরে গিয়ে দেখা যায়, বন্দর অভ্যন্তরে চালবোঝায় শত শত ট্রাক খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই থেকে ২৫ শতাংশ শুল্ককরে চাল আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয় সরকার। এ বন্দরে ১০ জন আমদানিকারক ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির পারমিট পান। শতাধিক চালবোঝাই ট্রাক বেশ কয়েকদিন ধরে বন্দর অভ্যন্তরে দাঁড়িয়ে আছে।

হিলি বাজারের চাল ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন জানান, হিলি বন্দরে চাল আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। বরং চালের দাম আরও বেড়ে গেছে। ডলারের দাম বৃদ্ধি আর সরকারি শুল্ককর কমানোর অজুহাতে আমদানিকারকরা চালগুলো বন্দর থেকে খালাস করছেন না। তবে যদি তারা চালগুলো বাজারজাত করেন তাহলে আশা করা যায় চালের দাম অনেকটাই কমে যাবে।

এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন জানান, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানিকারকরা চাল আমদানি করে লোকসানে পড়ছেন। সে জন্যই ভারত থেকে চাল আমদানির প্রতি তাদের অনীহা। তবে সরকার যদি চাল আমদানির ওপর থেকে ২৫ শতাংশ শুল্ক তুলে নেয়, তাহলে বন্দর অভ্যন্তরে যেসব চালের ট্রাকগুলো রয়েছে, সেগুলো খালাস করবেন আমদানিকারকরা। এছাড়া ভারত থেকে চালের আমদানি আরও বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে দেশের বাজারে চালের দাম অনেকটাই কমে আসবে।

পানামা পোর্ট লিমিটেড জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, হিলি স্থলবন্দরে বর্তমান শতাধিক চালবোঝাই ট্রাক খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। কাস্টমসের সব কার্যক্রম শেষে আমদানিকারকরা যাতে দ্রুততার সঙ্গে বন্দর থেকে চালগুলো খালাস করে নিয়ে যেতে পারে, সে জন্য পানামা বন্দর সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে।

হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত মাসের ২৩ তারিখ থেকে এ বন্দরে ১৯২টি ট্রাকে ৭ হাজার ৭১৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে; যা থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০