নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের আরও ছয়টি বেসরকারি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ-সংক্রান্ত দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে নন বাসমতী সিদ্ধ চাল ২০ হাজার টন ও আতপ চাল ১২ হাজার টন। আমদানি করা চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে বলে শর্তে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ জুন বেসরকারিভাবে চার লাখ ৯ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠান, ৪ জুলাই ২ লাখ ৪৬ হাজার চাল আমদানির জন্য ১২৫টি প্রতিষ্ঠান, ৭ জুলাই এক লাখ ৮২ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ৬২টি প্রতিষ্ঠান, ১৩ জুলাই ৭৩ হাজার চাল আমদানির জন্য ৪৭টি প্রতিষ্ঠান ও ২০ জুলাই ৯০ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৫৭টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। চাল আমদানি শর্তে বলা হয়েছে, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট বা ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং এ-সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে।
বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ গুদামজাত ও বাজারজাত করার তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানাতে হবে।
বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে বলেও শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।