নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২১ দশমিক ৩১ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ৩৩৩ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ কোটি ৭৮ লাখ ২১ হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ২১ শতাংশ বা ৯ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩০২ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল একই। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১ লাখ ২৪ হাজার ৪০৮টি শেয়ার মোট এক হাজার ১৬১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ৭৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৯৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩১০ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ২২৭ টাকা থেকে ৩৪৮ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন পাঁচ কোটি ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৫৭ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক আট দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৬০ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ৭৪ পয়সা। এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ চার শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ৭৯ পয়সা। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন এবং বাজারদরের ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৩২৮ দশমিক ৫৯ এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বাজারদরের ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাত ৩২৮ দশমিক ৫৯।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে আট কোটি ৩৭ লাখ ৭৪ হাজার ৬৬৭ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫ কোটি ১৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ৪৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৬৭ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। চতুর্থ অবস্থানে থাকা পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে শমরিতা হসপিটাল লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৭২ শতাংশ, সাফকো স্পিনিং মিলের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, আনলিমা ইয়ার্ন ডায়িং লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।