বঙ্গোপসাগরে ১১ ট্রলারডুবি ৩৪ জেলে নিখোঁজ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: পটুয়াখালী-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে দেড় শতাধিক জেলেসহ ১১টি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নিখোঁজ রয়েছেন ৩৪ জেলে। বাকিদের উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে এসব ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি চরফ্যাশন ও কলাপাড়া উপজেলার আলীপুর মৎস্য বন্দর এলাকায়।

ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হলোÑএফবি মামনি (৩), এফবি সাইফুল, এফবি আল মামুন, এফবি কুলসুম, এফবি রফিক মাঝি, এফবি নুরবানু ও এফবি মায়ের দোয়া। এছাড়া ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় একটি, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টির একটি, কলাপাড়া কলাপাড়া লালুয়ার একটি ও বরগুনার নাপিতা এলাকার একটি ট্রলার ডুবে গেছে।

গতকাল শনিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা ও মহিপুর আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা।

ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার জেলে মো. জাফর মিয়া বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে আমাদের আশপাশের কয়েকটি ট্রলার ডুবে গেছে। আমরা প্লাস্টিকের ড্রাম ধরে ভেসেছিলাম। পরে অন্য জেলেরা আমাদের উদ্ধার করেছে।’

আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ?‘উত্তাল সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পড়ে এ পর্যন্ত ১১টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এসব ট্রলারে থাকা ১২৬ জেলেকে উদ্ধার করা হলেও ৩৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ জেলে এফবি কুলসুম ট্রলারে ছিলেন। ১৮ জেলে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারে ছিলেন। এছাড়া এফবি রফিক মাঝি ট্রলার ডুবে রফিক মাঝি ও মোহাম্মদ (৩) নামে একটি ট্রলার ডুবে জেলে বাবুল মিয়া নিখোঁজ হন। উদ্ধারকৃত জেলেদের কুয়াকাটা ও মহিপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে কোস্টগার্ড।

নিজামপুর কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার সেলিম মণ্ডল বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবে গেছে বলে আমরা শুনেছি। আমাদের টহল টিম উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।’

কক্সবাজারে নিখোঁজ দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার: এদিকে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকাল ৪টায় শহরের খুরুশকুল মোহনা ও সন্ধ্যা ৭টায় শহরের সোনাদিয়া চ্যানেল থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খুরুশকুল মোহনা থেকে জেলের মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার সদর মডেল ওসি শেখ মনিরুল গিয়াস।

তিনি জানান, কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলের জাকের হোসেনের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারটি শুক্রবার বেলা ১টায় বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক পয়েন্টে ডুবে যায়। খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে ওই দিনই ট্রলারের ১৯ জেলের মধ্যে আটজনকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। বাকি জেলেদের উদ্ধারে তখন থেকে কোস্টগার্ড সদস্য ও জেলেরা উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০