শেয়ার বিজ ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ ও ইউক্রেন আগ্রাসনের পরামর্শক আলেকজান্ডার দুগিনের কন্যা দারিয়া দুগিন শনিবার (২০ আগস্ট) এক গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত হন। মস্কোর কাছে সংঘটিত এ ঘটনার জন্য রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী জড়িত বলে দোষারোপ করছে। তাদের দাবি, দুগিনের ওপর হামলাকারী ইউক্রেনের একজন নাগরিক।
রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) জানিয়েছে, ‘ইউক্রেনের স্পেশাল সার্ভিস দুগিনকে পরিকল্পনা করে হত্যা করেছে। দুগিনের ওপর হামলাকারীর নাম নাতালিয়া ভোভক। তিনি ইউক্রেনের নাগরিক। হত্যাকাÐের পর তিনি পালিয়ে এস্তোনিয়া চলে যান।’
তবে এস্তোনিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় বাল্টিক নিউজ সার্ভিসকে একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘এ বিষয়ে রাশিয়া কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো অনুরোধ বা অনুসন্ধানের জন্য তথ্য চাওয়া হয়নি এখনো’।
এফএসবি আরও জানায়, ভোভক গত জুলাই মাসে তার ১২ বছর বয়সি কন্যাসহ রাশিয়ায় যান। দুগিন যে ভবনে থাকতেন, সেখানে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেন তিনি। তারা আরও জানিয়েছে, ঘটনার দিন ভোভক ও তার কন্যা একটি উৎসবে অংশ নেন যেখানে হত্যাকাÐের কিছু আগে দুগিন ও তার মেয়ে দারিয়া দুগিন পৌঁছান।
রাশিয়ার এই সংস্থা সীমান্ত ক্রসিং এবং মস্কো অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের প্রবেশদ্বারে নজরদারিতে রাখা ক্যামেরা থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভিডিও প্রকাশ করেছে।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখেইলো পোদোলিয়াক বোমা হামলায় ইউক্রেনের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি এফএসবির দাবিগুলোকে কাল্পনিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি এ ঘটনাকে রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্তর্দ্ব›েদ্বর অংশ হিসেবেও দেখছেন।
এদিকে, ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মেয়ের এ হত্যাকাÐকে ‘জঘন্য’ ও ‘নির্মম’ অপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি বলেন, দুগিন খুবই ‘বুদ্ধিমতি’ এবং ‘গুণী’ ছিলেন। দুগিনের নিহতের ঘটনার পর পুতিন এই প্রথম তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন।
রাশিয়ার তদন্ত কমিটি বলছে, তাদের ধারণা দারিয়া নন, এই হামলার মূল টার্গেটে ছিলেন তার বাবা। দারিয়ার বাবা আলেকজান্ডার দুগিন রাশিয়ার একজন দার্শনিক, যিনি ‘পুতিনের মস্তিষ্ক’ নামে পরিচিত।
ঘটনার দিন আলেকজান্ডার দুগিন এবং তার কন্যাকে মস্কোর কাছে একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যেখানে আলেকজান্ডার বক্তব্য রাখেন।