গুচ্ছতে ভর্তির টাকা পেলেন মেধাবী শিক্ষার্থী রনি

প্রতিনিধি, নীলফামারী : নীলফামারীতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তির হতে পারছে না মেধাবী শিক্ষার্থী রনি ইসলাম। এ অবস্থায় ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তির টাকা জোগাড় করতে না পারায় ভর্তি হতে পারবেন কি না, সে দুশ্চিন্তা এখন তাড়া করছে তাকে।

রনি জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ব্রম্মত্তোর বানিয়া পাড়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও মাতা মোতাহারা বেগমের ছেলে। তিনি চার ভাই এক বোন নিয়ে তাঁদের পরিবার। মা গৃহিনী ও বাবা কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। বর্তমানে লুৎফর রহমান অসুস্থ্য হয়ে জীবন যাপন করেন। চার ভাই বোনের মধ্যে রনি তৃতীয়।

গণমাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুর আলম মিনহাজ নীলফামারীর পুলিশ সুপারকে বিষয়টি নজরে আনতে নির্দেশ দেন। স্যারের নির্দেশে নগদ ২০ হাজার টাকা রনি ইসলামকে প্রদান করেন নীলফামারী পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রনিসহ মা ও বোনের হাতে নগদ ওই টাকা হস্তান্তর করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।

রনি এসএসসিতে জিপিএ-৫ ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। সে ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত সৈয়দপুর কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে, সৈয়দপুর সানফ্লয়ার স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি সুনামের সাথে পাশ করেন।

ছোট বেলা থেকে রনির স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিয়ার হওয়ার। কিন্ত অর্থভাবে সেই স্বপ্ন মুছে যেতে বসেছিল। তিনি রয়েট, চুয়েট ও বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে গুচ্ছতে ২৩৮৪ নম্বর পেয়ে ভর্তির প্রহর গুনছে।

রনির মা মোতাহারা বেগম বলেন, ছেলের ভর্তির জন্য এতো টাকা কোথায় পাবো। সাংবাদিক ভাইদের অচিলায় আজ হঠাৎ করে সৈয়দপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ফোন দিয়ে বলেন, পুলিশ সুপার স্যার আপনার ছেলেকে ভর্তির টাকা দিবেন এ জন্য নীলফামারীতে ডেকেছেন। আমি খুশি হয়ে বললাম আল্লাহ ওনার ভাল করুক। ওনার মতো অফিসার গরীবের বন্ধু।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০