প্রতিনিধি, বেনাপোল : যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা শামসুর রহমান মেম্বার হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বিশেষ দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ শামছুল হক এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বেনাপোলের গাতিপাড়া গ্রামের ফজলে করিম ক্যানলার ছেলে রাইটার, রবিউল ইসলামের ছেলে মশিয়ার রহমান, দৌলতপুর গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে আজগর আলী, ভারতের ২৪ পরগনা জেলার বনগ্রাম থানার ভরতপুর গ্রামের কারজেল ম-লের ছেলে আব্দুস সাত্তার মন্ডল, জিয়ালা গ্রামের কালিপদ সরকারের ছেলে সাধন সরকার, বাগদাহ থানার আমডোব গ্রামের মৃত আনু বিশ্বাসের ছেলে ইয়াকুব আলী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ৫ মে মাগরিবের নামাজ পড়ে শামসুর রহমান বাড়িতে বসে লোকজনের সাথে কথা বলছিলেন। রাত পোনে ৮টার দিকে আসামিরা মেম্বার শামসুর রহমানকে লক্ষ করে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে গিয়াসউদ্দিন বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে ১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন।
দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা করে জারিমানার আদেশ দিয়েছেন। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি টিটু মিয়াকে খালাস দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত রাইটার বাদে সব আসামি পলাতক রয়েছে।