হাসানুজ্জামান পিয়াস: গতকাল বুধবার চলতি সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেনের উত্থান হয়েছে। এর আগের কার্যদিবসেও পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল। সম্প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্যে স্থিতিশীলতা, নতুন করে জ্বালানি তেলের মূল্যহ্রাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহে স্থিতিশীলতার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসতে শুরু করেছে। এতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ফলে সূচকের পাশাপাশি পুঁজিবাজারে টাকার অঙ্কে বড় লেনদেন দেখা যাচ্ছে।
এদিকে কয়েক কার্যদিবস পর ফের বিমা খাতের কোম্পানিতে আস্থা ফিরেছে বিনিয়োগকারীদের। ফলে এ খাতের কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা বেড়েছে। গতকালের বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বিমা খাতের ৮৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। পাঁচ দশমিক ৬৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল আর বাকি ১১ দশমিক ৩৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা গেছে। আর এ খাত থেকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে এক দশমিক ৭৫ শতাংশ।
তবে গতকাল ডিএসইতে সিমেন্ট খাতে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। সিমেন্ট খাতের সাতটি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটির শেয়ারদর গতকাল বেড়েছে। এদিন এ খাতের কনফিডেন্স সিমেন্টের শেয়ারদর ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ারদর ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়ে টপ টেন গেইনারের তালিকায় যথাক্রমে তৃতীয় ও ৯ম অবস্থানে উঠে আসে।
খাতভিত্তিক রিটার্নের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাত। এ খাতে রিটার্ন ছিল তিন দশমিক ৬০ শতাংশ। এ খাতের তিন কোম্পানির মধ্যে দুটিরই শেয়ারদর বেড়েছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে ছয় হাজার ৪৫৭ দশমিক ২১ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল এ সূচক উত্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল যথাক্রমে লাফার্জহোলসিম (বাংলাদেশ) লিমিটেড, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড, কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড, জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড এবং বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয় ২ হাজার ৫ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৬৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এদিকে গতকাল মোট লেনদেনের সাড়ে ১৯ শতাংশই ছিল বস্ত্র খাতের দখলে। এরপরের অবস্থানে থাকা মোট লেনদেনের ১৩ শতাংশ ওষুধ ও রসায়ন খাতের, ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ প্রকৌশল খাতের এবং সাড়ে ৯ শতাংশ বিবিধ খাতের দখলে ছিল।
