শেয়ার বিজ ডেস্ক: ধুমধাম করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তি উদ্যাপন করল আফগান সরকার। দেশের মাটি থেকে বিদেশি সেনাবাহিনী সরে যাওয়ার আনন্দে মেতেছে দেশটির জনসাধারণও। খবর: সিজিটিএন।
বন্দুকের গুলি ছুড়ে এবং আতশবাজি পুড়িয়ে এ দিনটি উদ্যাপন করা হলো। যদিও ক্ষমতা দখলের পরে তালেবানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ উঠেছে, তবু যুক্তরাষ্ট্রের সেনা চলে যাওয়ায় খুশি আফগানরা। বিদেশি শক্তি থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীনতা উদ্যাপন করতে নানা সেøাগান-সংবলিত সাদা পতাকা ওড়ানো হয় নানা সরকারি দপ্তর থেকে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যÑতিন দেশের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছে বলে গোটা আফগানিস্তানে ব্যানার লাগানো হয়। এদিন ট্রাফিক আইনের তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে ঘুরে বেড়ায় তালেবানরা।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র জানায়, আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নেবে তারা। এ ঘোষণার পর ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এর ১৫ দিন পর ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তার পর থেকে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাগাতারভাবে বেড়েছে। যদিও তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা সরে গেছে। যুদ্ধের কারণে আর মানুষের মৃত্যু হচ্ছে না। গত এক বছরে নানা ক্ষেত্রে প্রচুর উন্নতি করেছে আফগানিস্তান।
দ্রুত আফগানিস্তান ছাড়ার সময় অনেক অস্ত্র ফেলে যেতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। সেই অস্ত্র ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমে ছবিও পোস্ট করেছে তালেবান। সেখানে বলা হয়েছে, এভাবেই আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাকে দেশ থেকে উৎখাত করে দিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দূতাবাসের সামনে ‘যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংস হোক’ বলে সেøাগান দেয় তারা।
এদিকে জাতিসংঘের মতে, আফগানিস্তানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছেন ৬০ লাখ মানুষ। দেশটি মানবিক, অর্থনৈতিক, জলবায়ু ও খাদ্য সংকটে রয়েছে। আগামী শীতে দেশটির মানুষ যেন বেঁচে থাকতে পারে, সেজন্য দাতাদের অবিলম্বে ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল দেয়া উচিত বলে জানায় জাতিসংঘ।