প্রতিনিধি, হিলি: চাল আমদানিতে আরোপিত শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হলেও বাজারে চালের দামে প্রভাব পড়েনি। ফলে খুচরা বাজারে নিন্মআয়ের মানুষ শুল্ক কমানোর সুফল পাচ্ছে না। হিলি বন্দরের আমদানিকারকরা বলছেন, বাজারে চালের দাম কমতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। আর পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, কম শুল্কের চাল এখনও আমরা পাইনি। দাম কমতে পারে, তাই আগের চালই কেজিতে দুই টাকা কমিয়ে বিক্রি করছেন তারা।
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক শাহিনুর রেজা জানান, সরকার চালের বাজারে অস্থিরতা কাটাতে গত ২৮ আগস্ট চালের ২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। এরপর মঙ্গলবার বন্দর থেকে চাল খালাস শুরু হয়।
গতকাল হিলি বন্দরের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী স্বপন বসাক জানান, শুল্ক কমানোর চাল এখনও আমাদের কাছে আসেনি। কিন্তু দাম কমবে, তাই আমরা আগের চালই কেজিতে দুই টাকা কমিয়ে বিক্রি করছি। স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৫২ টাকার জায়গায় ৫০ টাকা এবং সম্পাকাটারি ৭০ টাকার জায়গায় ৬৮ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে চাল কিনতে আসা ক্রেতা করিম জানান, আমরা সাধারণ ক্রেতারা চালের শুল্ক কমানোর সুফল পাচ্ছি না। আমাদের আগের দামেই চাল কিনতে হচ্ছে। এতে নি¤œআয়ের মানুষদের নাভিশ্বাস উঠেছে। তিনি চালের বাজার মনিটরিং করার দাবি জানান।
পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, বন্দরে আটকে থাকা চাল খালাস অব্যাহত আছে। এছাড়া প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ ট্রাক চাল আমদানি হচ্ছে। দ্রুত চাল খালাসে পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষ আমদানিকারকসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
