নিজস্ব প্রতিবেদক: কোনো প্রকার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, কোহিনুর কেমিক্যালস লিমিটেড, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্প্যা লিমিটেড এবং জেমিনি সি ফুড লিমিটেডের। অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার কোম্পানি চারটির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিশ পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ৩১ আগস্ট ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৬৭ টাকা ১০ পয়সা, যা গত মঙ্গলবার লেনদেন হয় ৭৪ টাকা ৮০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। তবে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বা ২ টাকা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৭২ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই।
কোহিনুর কেমিক্যালস কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারদর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৮ আগস্ট থেকে কোম্পানিটির ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৪১০ টাকা ৬০ পয়সা, যা গত মঙ্গলবার ৬ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয় ৫৪৮ টাকা ৫০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই। এদিকে গতকালও কোম্পানিটির শেয়ারদর ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ৪১ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৮৯ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই।
সি পার্ল বিচ লিমিটেডের শেয়ারদর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিটির ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৫৭ টাকা ১০ পয়সা, যা গত ৬ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয় ৬৮ টাকা ৯০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। এদিকে গতকালও কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ বা ৩ টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৭২ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। জেমিনি সি ফুড লিমিটেডের শেয়ারদর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ৩০ আগস্ট থেকে কোম্পানিটির ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৩৫১ টাকা ২০ পয়সা, যা গত ৬ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয় ৪৫৩ টাকা ৪০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।