কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক শেয়ারদর বাড়ছে ফাইন ফুডের

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোনো ধরনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই অস্বাভাবিক শেয়ারদর বাড়ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের প্রতিষ্ঠান ফাইন ফুডস লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিশ পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। শেয়ারদর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিটির ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৫২ টাকা ১০ পয়সা, যা গত ৮ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয় ৫৯ টাকা ৬০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দশমিক ১৭ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৯ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬২ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩৬ টাকা থেকে ৬২ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ৯ লাখ ৮২ হাজার ৩১৯টি শেয়ার মোট ১ হাজার ৫৫৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছিল ৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ পয়সা লোকসান এবং ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৬১ পয়সা। এর আগে ২০১৮ সালে কোম্পানিটি ৩ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে ২ শতাংশ নগদ এবং ২০২০ সালে ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৮৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল যথাক্রমে ২৪ পয়সা ও ১০ টাকা ৮৩ পয়সা।

‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির এক কোটি ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯১৮ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে মাত্র ৯ দশমিক ০৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং ৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০