প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর ১০ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি বালিবোঝাই বাল্কহেড ডুবে গেছে। এ সময় বাল্কহেডে থাকা পাঁচ শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পর আরেকটি বাল্কহেড সেতুর ৯ নম্বর পিলারে ধাক্কা দিয়ে সেখানেই আটকে আছে। গতকাল দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি সিরাজগঞ্জ থেকে বালি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ও আটকে থাকা বাল্কহেডটি সিরাজগঞ্জ থেকে বালি নিয়ে ফরিদপুর সিঅ্যান্ডবি ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের শ্রমিক আক্তার হোসেন বলেন, দুপুরে আমরা সিরাজগঞ্জের হাজি সাত্তারের বালিমহাল থেকে বালিভর্তি বাল্কহেডটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জের দিকে রওনা দিই। নদীতে অতিরিক্ত স্রোতের কারণে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আমাদের বাল্কহেডটি ডুবে যায়। আমরা পাঁচজন সাঁতরে বেলকুচির রান্ধুনীবাড়ী চরে এসে উঠি। সবাই সুস্থ আছি।
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর প্রকৌশলী ফারুক হোসেন বলেন, নদীর প্রবল স্রোতের কারণে বাল্কহেডটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের ১০ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে এবং সেখানেই ডুবে যায়। তার কিছুক্ষণ পর ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে আরেকটি বালিবোঝাই বাল্কহেড ধাক্কা দিয়ে আটকে যায়।
তিনি আরও বলেন, দুদিন আগে একই স্থানে বালিবোঝাই একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। এ ঘটনায় একজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ আতাউর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, সকালে সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মনজুর হোসেন বঙ্গবন্ধু সেতু পরিদর্শনে এসেছেন। ডুবে যাওয়া বাল্কহেড সম্পর্কে জানি না। তবে একটি বালিবোঝাই বাল্কহেড আটকে আছে বলে জানতে পেরেছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, দুপুরের দিকে আমরা জানতে পারি, সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা লেগে বালিবোঝাই একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নৌ-পুলিশকে জানিয়েছি। পরে কী হয়েছে, তা জানি না। তার ঘণ্টাখানেক পরে আমাদের ফোর্স জানায়, ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে বালিবোঝাই আরেকটি বাল্কহেড ধাক্কা দিয়ে আটকে আছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যাই। দেখি প্রচণ্ড স্রোতে পিলারের সঙ্গে বাল্কহেডটি আটকে আছে। এতে নদীর স্রোতের পুরো চাপ গিয়ে পিলারে পড়ছে।