নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রাহক সংখ্যায় দেশের শীর্ষ মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন তাদের নিজস্ব তিন হাজার বেস ট্রান্সিভার স্টেশন (বিটিএস) অন্য অপারেটরদের ব্যবহার করতে দিয়েছে। বাংলাদেশের কোনো মোবাইল অপারেটরের শেয়ার করা বিটিএস সাইটের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে মোবাইলফোন অপারেটরটি।
এতে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব নেটওয়ার্ক এবং সবচেয়ে বেশি বিটিএস সাইট নিয়ে সবাইকে অবকাঠামো ব্যবহার করতে দিতে প্রস্তুত। এর ফলে সম্পদের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
বিটিআরসি প্যাসিভ টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ব্যবহারের অনুমতি দিলে গ্রামীণফোন ২০০৯-এ সাইট শেয়ারিং শুরু করে এবং ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী কিউবি ছিল প্রথম গ্রাহক।
গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিটিআরসি ২০০৮-এ অবকাঠামো শেয়ারিং নীতিমালা প্রকাশ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত অপারেটররা প্রায় আট হাজার সাইট একে অপরকে ব্যবহার করতে দিয়েছে, যা একই সময়ে স্থাপিত হওয়া বিটিএসের ৫০ শতাংশেরও বেশি।
মোবাইল টাওয়ার ব্যবস্থাপনার জন্য বিটিআরসির পৃথক লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ এবং তাতে মোবাইল অপারেটরদের অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকা প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি বলেন, মোবাইল অপারেটরদের বিদ্যমান টাওয়ার নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যকে ব্যবহার করতে দেওয়ার ক্ষমতা অব্যাহত রাখা উচিত, একই সঙ্গে টাওয়ারের লাইসেন্সধারীদেরও রাখা উচিত। এর মাধ্যমে টেলিযোগযোগ শিল্পে একটি প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় থাকবে। এছাড়া এতে গ্রাহকদের জন্য উন্নত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত হবে।
অবকাঠামোর পারস্পরিক ব্যবহারের ফলে অপারেটরদের বড় আকারের মূলধনি বিনিয়োগ উদ্বৃত্ত থাকে, তারা তাদের মূল ব্যবসায় মনোনিবেশ করতে পারে আর একই সঙ্গে সরকারি কোষাগারে অর্জিত রাজস্বের একটি অংশ জমা হয়। এছাড়া কম জায়গার ব্যবহার ও কম বিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিত করে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করে।
Add Comment