নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে বৈদেশিক ঋণের পাইপলাইন বাড়ছে। বিদায়ী অর্থবছর (২০২১-২২) পর্যন্ত জমা আছে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতির ৪৮ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার, স্থানীয় মুদ্রায় যা প্রায় চার লাখ ৮৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এইসি সম্মেলন কক্ষে গতকাল ‘সুশাসন নিশ্চিতকরণে বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
সেমিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ বেড়েছে। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত আমাদের দেশে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে ১৬৯ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে অর্থ ছাড় হয়েছে ১১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার। এখনও পাইপলাইনে রয়েছে ৪৮ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। এখনও স্বল্প সুদের ঋণ বেশি পাচ্ছে বাংলাদেশ। মোট ঋণের ৭৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ হলো ফিক্সড রেটের বা স্বল্প সুদের ঋণ। এছাড়া ফ্লটিং রেট বা কিছুটা অনমনীয় ঋণ ২৩ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ। এগুলোর গড় সুদের হার দেড় শতাংশ। গড়ে ২৮ বছরে এসব ঋণ পরিশোধ করতে হবে। গড় রেয়াতকাল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। সেইসঙ্গে মোট বৈদেশিক ঋণের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ঋণ মাত্র ৪০ শতাংশ। আর বহুপক্ষীয় ঋণ ৬০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ঋণ নেয়া হচ্ছে বিশ্বব্যাংক থেকে ৩২ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে রয়েছে এডিবি। সংস্থাটি থেকে ২৪ শতাংশ, জাপান থেকে ১৮ শতাংশ, চীন থেকে আট শতাংশ, রাশিয়া থেকে পাঁচ শতাংশ, ভারত থেকে দুই শতাংশ, আইডিবি ও এআই্আইবির ১ শতাংশ এবং অন্যান্য উৎস থেকে নেয়া হয়েছে পাঁচ শতাংশ ঋণ।