আমন আবাদে লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক: এ বছর আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হলো ৫৯ লাখ হেক্টর। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক কোটি ৬৩ লাখ মেট্রিক টন চাল। গতকাল শনিবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০২০-২১ সালে আমনের মোট আবাদ হয়েছিল ৫৬ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৪৫ লাখ টন। গত বছর ২০২১-২২ সালে আবাদ হয়েছিল ৫৭ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে, আর উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ৫০ লাখ টন চাল।

সম্প্রতি ময়মনসিংহে এক কর্মসূচিতে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমন উৎপাদনে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমনে উৎপাদন গত বছরের তুলনায় বেশিও হতে পারে।

এদিকে খরা আর কম বৃষ্টিপাতের কারণে আমনে প্রায় ১৫ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ দিতে হয়েছে।

সেচকাজে প্রায় ৬ লাখ ৭৪ হাজার গভীর নলকূপ, অগভীর নলকূপ, এলএলপিসহ বিভিন্ন সেচযন্ত্র ব্যবহƒত হয়েছে। দেশে মোট সেচযন্ত্রের পরিমাণ ১৪ লাখেরও বেশি।

এর আগে আগামী বোরো মৌসুম পর্যন্ত কোনো সার সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে সার সংগ্রহ করছি।

কভিড অতিমারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্যের দাম বেড়েছেÑউল্লেখ করে তিনি বলেন, সব ধরনের পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। যখন গমের দাম বেশি থাকে, তখন মানুষ চালের দিকে ঝুঁকে পড়ে। কিন্তু আমাদের যে খাদ্য মজুত রয়েছে, তাতে মঙ্গাপীড়িত অঞ্চলসহ কোথাও সংকট হবে না। বোরোর জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। সার সংকট হবে না।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়ায় এখনও নিষেধাজ্ঞা থাকায় পর্যাপ্ত সার পাওয়া নিয়ে একটা শঙ্কা রয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে মানুষের কষ্ট হলেও বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার খাদ্যবান্ধবসহ নানা কর্মসূচি নিয়েছে।

ডিমের দাম অতিরিক্ত বেড়েছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সেটি দু-তিন মাসের মধ্যে কমে যাবে। তবে চাষিদের কথা বিবেচনায় রেখে ডিম আমদানি করা উচিত নয়।

মুক্তবাজার অর্থনীতিতে কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০