শেয়ার বিজ ডেস্ক: মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে ভূমিকা রেখেছে ফেসবুক এমন অভিযোগ করে সামাজিক এই যোগাযোগমাধ্যমকে তাদের (রোহিঙ্গাদের) ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি। গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। খবর: আল জাজিরা।
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে রোহিঙ্গাবিরোধী বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ানোয় একাধিকবার অবগত করার পরও পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এরপর ক্ষতিপূরণের কথা বলছে মানবাধিকার সংস্থাটি। ২০১২ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠান মেটার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মিয়ানমারকর্মীরা। তখনও আমলে নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। ভিকটিমদের অ্যাসোসিয়েশন ও মানবাধিকারকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বিরোধী সহিংসতা বেড়েছে। চরমপন্থি নানা কনটেন্ট প্রচার করা হয়েছে, যা ক্ষতিকর, বিভ্রান্তি ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে উৎসাহিত করে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন,
দমন-পীড়নের শুরুর দিকে ও পরবর্তী বছরগুলোয় ফেসবুকের অ্যালগরিদমগুলো রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে তীব্র করে তুলেছিল, যা সহিংসতায় ভূমিকা রাখে। ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত ‘ফেসবুক
পেপারস’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে এসেছে, প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা অবগত ছিলেন ফেসবুক জাতিগত সংখ্যালঘু ও অন্যান্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ক্ষতিকর বিষয়বস্তু ছড়িয়ে দিচ্ছে।
ক্যালমার্ড আরও বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যখন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ করছিল, তখন মেটা বিভিন্নভাবে লাভবান হচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানের এখন দায়িত্ব হচ্ছে যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া।
অ্যামনেস্টির এমন অভিযোগ ও দাবি নিয়ে মেটার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এর আগে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা দাবি করেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিসংতা উসকে দিতে ভূমিকা রেখেছিল ফেসবুক। ২০২১ সালের শেষ দিকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিরুদ্ধে ১৫ হাজার কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের একটি মামলা করেছিল।