জন্মের পরই মিলবে জাতীয় পরিচয়পত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের কাজ সরকারের অধীনে আনার পাশাপাশি শিশুর জন্মের পরপর জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনে নতুন আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন পাওয়ার পর এই তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী এনআইডির নিবন্ধন প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের কাছে ছিল। নির্বাচন কমিশন থেকে এখন এটা সরকার নিয়ে আসতে চাচ্ছে। এজন্য এটা হোম মিনিস্ট্রি বা সুরক্ষা সেবা বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু যে আইনটা তারা আজকে এনেছেন, সেটা আমরা পরিবীক্ষণ করেছি। মন্ত্রিসভা মনে করে, এই আইনটা আরেকটু রিভিউ করা দরকার।

তিনি বলেন, নতুন আইনটি পাস হয়ে যাওয়ার পর এনআইডির পুরো কাজ সুরক্ষা সেবা বিভাগ করবে। তখন জšে§র সঙ্গে সঙ্গে এনআইডি হয়ে যাবে। বাংলাদেশে এনআইডি তৈরির ইতিহাসের ওপর আলোকপাত করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব একে সরকারের অধীন আনার যুক্তি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, মূলত ১৯৯৬ সালে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অধীনে কার্যক্রম শুরু হয়েছিল, পরে যা এনআইডি হিসাবে রূপান্তর করা হয়। কিন্তু বেসিক কনসেপ্ট তখন ছিল নির্বাচন-সম্পর্কিত। পরে যখন এনআইডিতে টার্ন হলো, তখন এটার সঙ্গে সব কর্মসূচি ও আইডেন্টিফিকেশন সবকিছু যোগ করে দেয়া হলো। এখন দেখা যাচ্ছে, এটা নির্বাচন কমিশনের চেয়ে বেশি প্রয়োজন সরকারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকা।

এর ব্যাখ্যায় আনোয়ারুল বলেন, নির্বাচন কমিশন তো সব ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে অত ডিরেক্ট রিলেটেড নয়। সেজন্য এটা ডিসিশন অনুযায়ী সুরক্ষা সেবা বিভাগে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যারা পাসপোর্টটা হ্যান্ডল করে।

এনআইডি সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে কবে যাবেÑএ প্রশ্নে তিনি বলেন, আইন যতদিন পর্যন্ত না হবে, ততদিন স্বরাষ্ট্রতে আসবে না। এখন যেভাবে আছে চলতে থাকবে ওই নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

তিনি আরও বলেন, নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কিন্তু শর্ত হলো, লেজিসলেটিভ ডিভিশন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে পরামর্শ করবে এবং ক্যাবিনেটকেও কনসাল্ট করে যথাসম্ভব, যে আইনটা আগে ছিল, সেটাকেই বেটার মনে হয়েছে; সেটার সঙ্গে যাতে কোনো কিছু যোগ-বিয়োগ করা হয়, সেভাবে করে দিতে বলা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে আবার মন্ত্রিসভায় আইনটি উঠতে এক মাসের মতো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০