সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের অনেক উদ্যোক্তা আন্তর্জাতিক মানের গেম ডেভেলপ করেছেন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরেও সাড়া ফেলছে এগুলো। দেশে গেম ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে চারজন গেম উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসুদ আনসারী। আজ থাকছে এর শেষ পর্ব
২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর ‘টিম রিবুট’ আত্মপ্রকাশ করে। জিসান হায়দার জয়, মোহাম্মদ রেজাউল হাসান ইভান ও মোহাম্মদ এমদাদুল হক মিলে প্রতিষ্ঠা করেন ‘টিম রিবুট’।
টিম রিবুটের কর্মতৎপরতা বাংলাদেশের গেম ইন্ডাস্ট্রিতে আশা জাগানিয়া। তিন বন্ধু মিলে ইতোমধ্যে দুটি গেম তৈরি করেছেন। এর একটি হচ্ছে অ্যারোপ্লেন নিয়ে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্লাই’। আরেকটি হচ্ছে ‘ডিটেকটিভ: দ্য গেম’। বলা হয়, দেশের প্রথম সিনেমাভিত্তিক গেম এটি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র স্টুডিও, পরিবেশক ও প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে গেমটি ডেভেলপ করা হয়েছে।
উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের জন্য যক্ষ্মা সচেতনতাবিষয়ক গেম তৈরি করেছে তারা। ‘প্রিভেন্ট টিবি’ নামে পরিচিত এ গেম। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫ সালে ব্র্যাকাথন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম রিবুট।
দেশে গেম ডেভেলপারদের নিয়ে একটি কমিউনিটি তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। দেশব্যাপী গেম ডেভেলপার তৈরি কিংবা এ খাতে তরুণদের উৎসাহিত করতে সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফর মোবাইল গেম ডেভেলপমেন্ট’ প্রোগ্রামে প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন টিম রিবুটের প্রতিষ্ঠাতারা। চলতি বছর নাসা স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জে ওপেন ইনোভেশন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে টিম রিবুটের একটি প্রকল্প।
টিম রিবুটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রেজাউল হাসান ইভান বলেন, সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে ফ্যামিলি সাপোর্ট। পরিবারের সহযোগিতার কারণে এতদূর আসা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উঠতি গেম ডেভেলপারদের দক্ষতা বাড়াতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।
গেম ডেভেলপ করা ভীষণ মজার। এখানে ধৈর্যের প্রয়োজন রয়েছে। দরকার পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ। তাদের জন্য আর্থিক প্রণোদনাও প্রয়োজন। এর মধ্য দিয়ে দেশে আন্তর্জাতিক মানের আরও গেম ডেভেলপ হবে বলে আশাবাদী টিম রিবুটের সদস্যরা। হ
Add Comment