বগুড়ায় বিএনপি নেতাসহ ১১ জনের যাবজ্জীবন

প্রতিনিধি, বগুড়া: বগুড়ায় ইউপি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় শাজাহান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ২০ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত রায়ে বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান রশিদুল জন মৃধাসহ ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেনÑবগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি রশিদুল ইসলাম ওরফে রশিদ মৃধা, একই ইউনিয়নের মহিষবাথান গ্রামের বিপ্লব মিয়া, রাসেল, জুয়েল প্রামাণিক, দক্ষিণভাগ গ্রামের সবুজ আকন্দ, উজ্জ্বল আকন্দ, আব্দুল মান্নান, পিলু খন্দকার, মোখলেছার রহমান মুকুল, আব্দুল হামিদ খোকা আকন্দ ও জাহেদুর রহমান। ১১ আসামির মধ্যে বিপ্লব, রাসেল ও জুয়েল প্রামাণিক পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে শেখেরকোলা ইউপি নির্বাচনে বিএনপি নেতা রশিদ মৃধা হরিণ প্রতীকে এবং আব্দুস সাত্তার খাঁ চেয়ার প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রশিদ মৃধা নির্বাচিত হন। তিনি পরদিন মোটরসাইকেলযোগে বিভিন্ন এলাকায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে বের হন। সন্ধ্যার দিকে তারা দক্ষিণভাগ গ্রামে পৌঁছালে মামলার বাদী মাহমুদুর রহমানের ভাই শাজাহান আলী ও ওই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানকে রাস্তায় দেখে তার (রশিদ মৃধা) ভোট না করায় গালাগাল শুরু করেন। তারা এর প্রতিবাদ করলে রশিদ চেয়ারম্যান ও অন্য আসামিরা তাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের বেদম মারপিটে শাজাহান ও মান্নান গুরুতর আহত হন। তাদের বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৩ ফেব্রুয়ারি শাজাহান মারা যান।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) জানান, মামলায় ওই ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। ১১ আসামির মধ্যে আটজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায়ে পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০