নিজস্ব প্রতিবেদক:‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কাঞ্চন বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে হলে নিয়ম মেনে চলতে হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যে আইন রয়েছে, ওই আইন আপনার ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছেÑতা না ভেবে এটাকে নিয়ম হিসেবে মানতে হবে।
দুর্ঘটনা তখনই কমে আসবে, যখন একজন চালক সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স নেবে। মাথায় হেলমেট লাগালে দুর্ঘটনা কমবে না, বরং দুর্ঘটনার পর হেলমেট মাথায় থাকায় আপনার জীবন রক্ষা হবে। এক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।
গতকাল শনিবার চাঁদপুর শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে যানবাহন শ্রমিক, চালক ও মালিকদের নিয়ে সড়ক নিরাপত্তা-বিষয়ক সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একজন চালক হাইওয়েতে যে গতিতে গাড়ি চালাবেন, আঞ্চলিক সড়কে সে গতিতে চালাতে পারবেন না। কারণ আঞ্চলিক সড়কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, বাজার প্রভৃতি রয়েছে। সেখানে গতিসীমা লেখা আছে। এর চাইতে বেশি গতিতে গাড়ি চালাতে পারবেন না। কিন্তু আপনি যখন হাইওয়ের ৬০ কিলোমিটার গতি আঞ্চলিক সড়কে এসে চালিয়ে যান, তখন আপনি ব্রেক করে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কিংবা একজন লোককে বাঁচাতে পারবেন না। কারণ একজন লোক বাজারে মাথায় একটি বস্তা নিয়ে দ্রুত চলতে পারে না। মাথায় বোঝাসহ মাথা ঘুরিয়ে তাকাতেও সময় লাগে। তাকে সড়ক পার হওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।
নিরাপদ সড়ক চাই, চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি এমএ লতিফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক সচিব ও লেখক হোসেন আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, ইলিয়াছ কাঞ্চন সাধারণ একজন মানুষ নন, তিনি জাতীয় ব্যক্তিত্ব। কারণ একটিমাত্র ইস্যু নিয়ে তিনি দীর্ঘ বছর রাস্তায় পড়ে আছেন। কেউ নিজের খেয়ে নিজের পরে নিজ দায়িত্বে এমন কাজ করছেন, তা আমার জানা নেই। আমি দেখেছি, আমাদের দেশে যখন কোনো উল্লেখযোগ্য মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়, তখন অনেকেই সরব হয়ে ওঠে। পরে আবার থেমে যায়। আমাদের দেশের সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা সবকিছু চিন্তা করেই কাজ করতে হবে।
সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন রাসেলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুরের ডিসি কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর পৌরমেয়র মো. জিল্লুর রহমান প্রমুখ।