প্রতিনিধি, বান্দরবান : অপহরণের পর বান্দরবানের থানচিতে তিন গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তবে আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূইয়া হত্যা মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় প্রত্যেক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেনÑযোহন ত্রিপুরা, ক্যহিম ত্রিপুরা, জসিন ত্রিপুরা, জীবন ত্রিপুরা, জর্জ ত্রিপুরা, সানি ত্রিপুরা, সালাউ ত্রিপুরা, সেনেদ্র ত্রিপুরা, যোসেফ ত্রিপুরা এবং শিগরাম ত্রিপুরা। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা সবাই পাহাড়ের ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর। তারা সবাই থানচি উপজেলার তিন্দুসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দা।
আদালত ও আইনজীবী সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল থানচি-আলীকদম উপজেলা সড়কের ২৮ কিলোমিটার এলাকায় পাহাড়ের ঝিরি থেকে অপহরণের পর তিন গরু ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত গরু ব্যবসায়ীরা হচ্ছেনÑআবু বক্কর, নূরুল আবছার ও সাহাব উদ্দিন। নিহতদের বাড়ি আলীকদম উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। এ ঘটনায় নিহত ব্যবসায়ী আবু বক্করের বড় ভাই আবুল হাশেম বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল থানচি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুল হাসান। তিনি বলেন, তিন ব্যবসায়ীকে হত্যার সাত বছর পর তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূইয়া। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন। তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। আসামিরা আত্মসমর্পণের তারিখ থেকে দণ্ড কার্যকর হবে বলে তিনি আদেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার পিপি আইনজীবী ইকবাল করীম বলেন, ২০১৬ সালে থানচি-আলীকদম সড়কে ডেকে নিয়ে তিন গরু ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ওই মামলায় অভিযুক্ত ১০ আসামির প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেক আসামিকে ২৬৪ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ আর্থিক জরিমানা করা হয়।
