আওয়ামী লীগের ওপর মানুষের আস্থা আছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের ওপরে মানুষের আস্থা রয়েছে বলেই তিনবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে; এবারও দেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কিন্তু যারা সন্ত্রাসী, খুনি, জনগণের অর্থ লুটপাটকারী, বোমা-গ্রেনেড হামলাকারী এবং অর্থপাচারকারীÑজনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, ভোটও দেবে না।

গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই বিএনপি আজ আন্দোলন করতে পারছে। কিন্তু বিএনপির যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরতে হবে। তাদের কোনো ছাড় নেই। কিন্তু যেসব আসামি… যারা অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, যারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে; রেল, বাস, গাড়ি, সিএনজি, লঞ্চ কোনো জায়গা বাদ ছিল না যে তারা আগুন দেয়নি; প্রত্যেক জায়গায় আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে; যারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত; আমি জানি তাদের অনেকে লুকিয়ে ছিল। এখন বিএনপি মাঠে নামলে তারাও মাঠে নামবে। এসব আসামিকে কিন্তু ধরতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। কারণ, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। জীবন্ত মানুষ হত্যা করেছে, হাত কেটেছে, চোখ তুলেছে, মানুষকে নির্যাতন করেছে; তাদের ছাড় নেই। আইন তার আপন গতিতে চলবে। আইন সবার জন্য সমান। এটা তাদের মাথায় রাখতে হবে।’

বিরোধী দলের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করতে হবে রাজনীতি হিসেবে। সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী এ দেশে চলবে না। এটা আমরা চলতে দেবো না। এটা মাথায় রাখতে হবে।’

দলের নেতাদের উদ্দেশ করে সভাপতি বলেন, ‘এই উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরনো সংগঠন আওয়ামী লীগ। এই সংগঠন আরও শক্তিশালী হোক। মানুষের পাশে দাঁড়াক। মানুষের জন্য কাজ করে মানুষের হƒদয় অর্জন করে ক্ষমতায় আমরা এসেছি। ক্ষমতায় আমরা জনগণের ভোটে এসেছি। আস্থায় এসেছি। সেই আস্থা আমরা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। ১৪টি বছর আমরা এ দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রেখেছি। অর্জন করেছি। আরও বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সেটা মাথায় রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করছি এবং করে যাব। উন্নয়নের কথাগুলো যেমন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, ভবিষ্যতে আমরা যে পরিকল্পনাগুলো নিয়েছি, সেটাও মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসী, খুনি, ১০ ট্রাক অস্ত্র … গ্রেনেড হামলাকারী, ৬৩ জেলায় বোমা হামলাকারী; এদের বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাসও করে না। (জনগণ) এদের পাশে থাকবেও না। এদের কখনও ভোটও দেবে না, এটা হলো বাস্তবতা।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলের যে লুটপাট, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বোমাবাজি, গ্রেনেড হামলা, অত্যাচার, নির্যাতন, খুন, রাহাজানি; এমন কোনো অপকর্ম নেই যে তারা করেনি। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ভিখারির দেশে পরিণত করেছিল। হাত পাতার দেশে পরিণত করেছিল। সেখান থেকে আমরা তুলে এনে আত্মমর্যাদাশীল একটি রাষ্ট্র করেছি, যে রাষ্ট্রের নাম শুনলে এখন সারা বিশ্বের মানুষ সম্মানের চোখে দেখে।’

আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতায় ব্যয় কমাতে হবে। তাই খরচ কমানোর জন্য আয়োজন হবে সাদামাঠা। এ সময় তিনি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০