লেনদেনের শীর্ষে থাকা তিন খাতে দরপতন

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে প্রথম দুই কার্যদিবসে পতন হলেও পরের তিন কার্যদিবসে সূচকের উত্থান হয়েছে। কিন্তু সপ্তাহ শেষে পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। এতে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক দশমিক ২২ শতাংশ ও লেনদেন ৩৮ দশমিক ২৩ শতাংশ কমেছে।

এছাড়া গত সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫২ শতাংশের বেশি হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন, বিবিধ এবং প্রকৌশল খাতে। এতে খাত তিনটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে। কিন্তু আলোচ্য খাতগুলো লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকলেও খাতগুলো শেয়ারদরে গত সপ্তাহে পতন হয়েছে। অপরদিকে লেনদেন কম হলেও গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ এবং আইটি খাতের শেয়ার।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেনে শীর্ষে থাকা ওষুধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ শতাংশ বা ৬৮০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। কিন্তু খাতটিতে গত সপ্তাহে শেয়ারদর কমেছে দশমিক ৩০ শতাংশ। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বা ৬৬২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর বিপরীতে খাতটিতে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শেয়ারদর পতন হওয়া খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বা ৫২৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। খাতটিতে গত সপ্তাহে দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদরের পতন হয়েছে।

গত সপ্তাহে মাত্র ১৬১ কোটি টাকা লেনদেন হলেও ভ্রমণ খাতে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতে গত সপ্তাহে ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কাগজ খাতে গত সপ্তাহে শেয়ারদর বেড়েছে ৬ দশমিক ২০ শতাংশ। খাতটিতে গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ বা ১৭৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে গত সপ্তাহে তৃতীয় স্থানে ছিল আইটি খাত। খাতটিতে গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের আট শতাংশ বা ২৮৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। খাতটি গত সপ্তাহে লেনদেনের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে ছিল।

অপরদিকে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর কমেছে পাট খাতে। খাতটিতে গত সপ্তাহে সাত শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। এরপর তৃতীয় স্থানে থাকা ট্যানারি খাতের শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ। এক শতাংশ শেয়ারদর কমে চতুর্থ স্থানে ছিল সিরামিক খাত।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে তিন হাজার ৫৮৩ কোটি ৫২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৬ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল পাঁচ হাজার ৮০১ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার ৪৬৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেনে দুই হাজার ২১৭ কোটি ৭১ লাখ ৫৮ হাজার ৫০৯ টাকা কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪ দশমকি ৩০ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১১ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৫২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪০২ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২৬৫ দশমিক ৮১ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৪টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৭১টির বা ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশের, কমেছে ৮৪টির বা ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২৯টির বা ৫৯ দশমকি ৬৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০