দক্ষিণ এশীয় রাজনীতিতে এক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ইন্দিরা গান্ধী। পুরো নাম ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার উল্লেখযোগ্য সমর্থন ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। ১৯৭২ সালে তাকে ভারতরত্ন ঘোষণা করা হয়। ইন্দিরা গান্ধী ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর এলাহাবাদে বিখ্যাত নেহরু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতামহ মতিলাল নেহেরু ভারতের প্রথম সারির কংগ্রেস নেতা ছিলেন। তার পিতা জওহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তার ছেলে রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী শৈশবের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন বিদেশে। তিনি সুইজারল্যান্ডের বেকস্-এ ইকোলে নোভেল, জেনেভার ইকোলে ইন্টারন্যাশনাল, অক্সফোর্ডের সামারভিল কলেজ ও ব্রিস্টলের ব্যাডমিন্টন স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। ১৯৩৪-৩৫ সালে তিনি কিছুকাল শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীতেও পড়াশোনা করেন। সেসময় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার নাম ‘প্রিয়দর্শিনী রাখেন’। পরবর্তীকালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সামারভিল কলেজে ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি নিয়ে অধ্যয়ন করেন। ইন্দিরা গান্ধী ১৯৩৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন। তার বাবা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর মৃত্যুর পর ১৯৫৯ সালে তিনি তথ্যমন্ত্রী হন। ১৯৩৮ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৯৬৬ সালে ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ সাল এবং ১৯৮০ থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত (১৯৮৪) তিন মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৬৭ থেকে দুই বছর তিনি বিদেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করেন। এছাড়া তিনি পরমাণু শক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণহত্যা শুরু করলে ২৭ মার্চ শনিবার ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশে গণহত্যার নিন্দা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন জানান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি লাভ করেন মেক্সিকান একাডেমি পুরস্কার (১৯৭২)। ১৯৮৪ সালের এই দিনে নিজের দেহরক্ষীর হাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ইন্দিরা গান্ধী ‘দ্য ইয়ার্স অব চ্যালেঞ্জ’, ‘রিমেমবার্ড মোমেন্টস’, ‘দ্য ইয়ার্স অব এনডেভার’, ‘ইন্ডিয়া’ ও ‘ইন্টারনাল ইন্ডিয়া’ নামে কিছু গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি ভারতরতœ উপাধি অর্জন করেন। তিনি জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের চেয়ারপারসনসহ অসংখ্য সম্মান লাভ করেন। ২০২০ সালে ইন্দিরা গান্ধীকে টাইম পত্রিকা কর্তৃক বিগত শতাব্দীর সংজ্ঞা-নির্ধারণকারী ১০০ শক্তিশালী নারীর তালিকাভুক্ত করা হয়। ২০১১ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ‘স্বাধীনতা সম্মাননা’ পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। কাজী সালমা সুলতানা
স্মরণীয়-বরণীয়

আরো খবর ➔
সর্বশেষ
আর্কাইভ

রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র | শনি |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
২৯ | ৩০ |