নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রাণচাঞ্চল্যে উৎসারিত যুবসমাজ দেশমাতৃকার মূল চালিকাশক্তি। যুবরা সাহসী, অদম্য, প্রতিশ্রুতিশীল ও সৃজনশীল। তাই যে কোনো দেশের জন্য যুবসমাজ অতি মূল্যবান সম্পদ। আজ ‘জাতীয় যুব দিবস, ২০২২’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি গতকাল এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে বলীয়ান এদেশের যুবসমাজ মুক্তি সংগ্রামের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় ত্যাগ, তিতিক্ষা ও আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য। ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামসহ বিভিন্ন সংকট উত্তরণে যুবসমাজের গৌরবোজ্জ্বল অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশই যুবসমাজ, যার বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৫ বছর। আগামী ২০৪৩ সাল পর্যন্ত যুবসমাজের সংখ্যাগত আধিক্যের ধারা অব্যাহত থাকবে। জাতিসংঘ ঘোষিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০’ অর্জনসহ বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে এ জনমিতিক সুবিধা কাজে লাগাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যুবসমাজকে পরিপূর্ণ দক্ষ, আধুনিক ও সচেতন রূপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুবদের দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।’ এসব প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবদের অনেকেই আজ সফল আত্মকর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবরা অনেকে বিদেশেও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে নিয়েছে এবং দেশের জন্য মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। একটি জ্ঞানমুখী, প্রশিক্ষিত ও আদর্শ যুবসমাজ জাতির মেরুদণ্ড। কাজেই যুবদের অবস্থান হবে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদসহ সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে। দেশের মানুষের প্রতি তাদের কর্তব্য ও মমত্ববোধ সবসময় জাগ্রত রাখতে হবে।
আবদুল হামিদ প্রত্যাশা করেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের তেজোদীপ্ত, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ যুবসমাজ স্বর্ণালি অধ্যায় সূচিত করবে।’
তিনি ‘জাতীয় যুব দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।