নিজস্ব প্রতিবেদক: অক্টোবর মাসে দাম কমার পর নভেম্বরে আবার বাড়ল এলপিজির দাম। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ডলার ও জ্বালানির দামের সংকটের মধ্যে এলপিজির দাম ওঠানামা করছে। এই পরিস্থিতিতে অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বর মাসে প্রতি কেজিতে এলপিজির দাম বাড়ল ৩ টাকা ২৫ পয়সা। এই হিসাবে ১২ কেজির দাম ৫১ টাকা বেড়ে দাঁড়াল ১২৫১ টাকা। একইভাবে দাম বাড়ল অটোগ্যাসেরও।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করা হয়। নির্ধারিত নতুন দাম গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর হয়েছে। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এই দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল। এ সময় সদস্য মকবুল-ই-ইলাহি চৌধুরী, আবু ফারুক, সচিব খলিলুর রহমান খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নভেম্বর মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৪ টাকা ২৬ পয়সা, যা অক্টোবর মাসে ছিল ১০১ টাকা ১ পয়সা, এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ১০২ টাকা ৮৮ পয়সা। এদিকে নভেম্বর মাসে ১২ কেজি এলপিজির দাম ১ হাজার ২৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অক্টোবর মাসে ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা, এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ১ হাজার ২৩৫ টাকা।
এদিকে নভেম্বর মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম লিটারপ্রতি ৫৮ টাকা ২৮ পয়সা নির্ধারণ করেছে কমিশন, যা অক্টোবর মাসে ছিল ৫৫ টাকা ৯২ পয়সা, সেপ্টেম্বরে ছিল ৫৭ টাকা ৫৫ পয়সা। এই হিসাবে অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে দাম বেড়েছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নভেম্বর মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) যথাক্রমে প্রতি মেট্রিক টন ৬১০ ডলার এবং ৬১০ মার্কিন ডলার। প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৬১০ মার্কিন ডলার বিবেচনায় এই দাম নির্ধারণ করেছে কমিশন।
১২ কেজি এলপিজি ছাড়াও সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সব এলপিজির দামই বাড়ানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। তবে সরকারি পর্যায়ে সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দামের পরিবর্তন হয়নি। তাই সেটি আগের দাম ৫৯১ টাকাই রয়েছে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ায় এবার এলপিজির দাম কিছুটা বেড়েছে। এলসি রেট অনুযায়ী এবার ডলারের দাম ধরা হয়েছে ১০৬ টাকা, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের রেট অনুযায়ী ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা।’
কমিশনের নির্ধারিত দামে বাজারে এলপিজি বিক্রি হয় না বলে সম্মেলনে বরাবরের মতো অভিযোগ করা হলে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ?‘আমরা লিখিত অভিযোগ না পেলে এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিতে পারি না। কমিশনের আইনেও এটা করা যায় না। অন্য কোম্পানিগুলোর মতো স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করতে পারি না।’
