শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা, টেক্সাস, লুইজিয়ানা ও আরকানসাস রাজ্যে টর্নেডোয় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছে। টর্নেডোর তাণ্ডবে অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। খবর: সিএনএন।
গত শুক্রবার দিনের শেষ ভাগে এ টর্নেডো শুরু হয়। এতে বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। টর্নেডোয় সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
কর্মকর্তারা উদ্ধার ও অনুসন্ধান অভিযান শুরু করেছেন। ঝড়ে ওকলাহোমা ও টেক্সাসে দুইজন মারা গেছেন। টেক্সাসে অন্তত ১৫টি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ওকলাহোমায় ঝড় বয়ে যাওয়ার পর কয়েকটি কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যের গভর্নর কেভিন স্টিট। এক টুইটে তিনি জানান, ১০০টির বেশি ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই ‘হƒদয়বিদারক’ বলে মন্তব্য করেন কেভিন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় সাহায্য-সহযোগিতা নিশ্চিত করতে তিনি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছেন।
টনের্ডোর কারণে গত শনিবার সন্ধ্যায়ও আরকানসাস, ওকলাহোমা, টেক্সাস ও লুইজিয়ানায় ২০ হাজারের বেশি বাড়িঘর এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। এসব জায়গায় শুক্রবার রাত থেকে টর্নেডোর সতর্কতা জারি ছিল।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানে শক্তিশালী টর্নেডো। এতে মারা যান ৮৪ জন। তখন আরকানসাস, ইলিনয়, কেন্টাকি, মিসৌরি ও টেনেসিতে কমপক্ষে ২৪টি টর্নেডো আঘাত হানে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কেন্টাকি। এ সময় বিভিন্ন রাজ্যে প্রায় ২ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। টর্নেডোর ঝুঁকিতে ছিল অন্তত পাঁচ কোটি মানুষ।
আরও আগে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যঞ্চলীয় মিজৌরি রাজ্যে টর্নেডোর আঘাতে তিনজনের মৃত্যু হয়। শক্তিশালী এ ঝড়ের আঘাতে অঞ্চলটি লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের সন্ধানে দ্বারে দ্বারে গিয়ে তল্লাশি অভিযান চালায়।