শেয়ার বিজ ডেস্ক: মিসরে জাতিসংঘের কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনের উদ্বোধনী দিন গত রোববার ৬ নভেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, আমাদের গ্রহ চরম বিপর্যয়ের মুখে। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
সম্মেলনে জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত আট বছর পৃথিবী ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম। বিশ্ব যে এখন জলবায়ু সংকটে রয়েছে, এতে সেই ইঙ্গিত মিলেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ডব্লিউএমওর আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্পযুগের (১৮৫০-১৯০০) গড় তাপমাত্রার চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হবে। সে হিসাবে ২০১৬ সাল থেকে প্রতিটি বছর সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ছিল।
ডব্লিউএমওর প্রতিবেদন আরও বলছে, নির্গমন অব্যাহত থাকার ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইডের পরিমাণ রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। গ্রিনহাউস গ্যাসের একটি মিথেনের বার্ষিক বৃদ্ধি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
ডব্লিউএমওর মহাসচিব অধ্যাপক পেটারি টালাস বলেন, উষ্ণায়ন যত বেশি হবে, প্রভাব তত খারাপ হবে। বায়ুমণ্ডলে বর্তমানে আমাদের যে বেশি পরিমাণের কার্বন
ডাই-অক্সাইড রয়েছে, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখাটা এখন নাগালের মধ্যে নেই বললে চলে।
সম্মেলনে নেতারা বলছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার লক্ষ্য অর্জনে কোনো নির্ভরযোগ্য কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বর্তমানে যে মাত্রার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, তাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ও বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। কারণ বৈশ্বিক তাপমাত্রা এখন ২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
মূলত বায়ুমণ্ডলে নির্গত রেকর্ড পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। বরফও অনেক বেশি গলে যাচ্ছে।
