শেয়ার বিজ ডেস্ক: টুইটারের মালিক হয়ে এক ধাক্কায় প্রচুর কর্মী ছাঁটাই করেন ইলন মাস্ক। এর কয়েক দিনের মধ্যে ছাঁটাই করা কিছু কর্মীকে আবার ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। কিছু কর্মীকে কাজে ফিরে আসার অনুরোধ জানিয়ে ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। খবর: রয়টার্স।
এক বিবৃতিতে টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিছু কর্মীকে ভুলবশত ছাঁটাই করা হয়েছিল। তাদের আবার ফিরে আসতে বলছেন মাস্ক। এছাড়া যাদের ফিরে আসতে বলা হচ্ছে, তাদের মধ্যে এমনও কর্মী রয়েছেন, যাদের কর্মদক্ষতা ভালোভাবে যাচাই করা হয়নি। টুইটারের নতুন কর্মপদ্ধতির পক্ষে তারা উপযোগী কি না, তা যাচাই না করে তাদের বাদ দেয়া হয়েছিল। এসব কর্মীকেও ফিরে আসার অনুরোধ করা হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে টুইটার থেকে প্রায় তিন হাজার ৭০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়। শুধু একটি
ই-মেইলে তাদের জানিয়ে দেয়া হয়, প্রতিষ্ঠানে তাদের আর প্রয়োজন নেই। টুইটারে সার্বিক খরচে লাগাম টানতে মাস্ক এ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এ গণছাঁটাইয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
ছাঁটাই প্রক্রিয়ায় গলদ ছিল, কিছু কর্মীকে ফিরে আসতে বলার মাধ্যমে তা স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত শুক্রবার মাস্ক টুইট করে জানিয়েছিলেন, তার কাছে আর কোনো বিকল্প ছিল না। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রয়োজন ছিল।
গণছাঁটাইয়ের পর যারা টুইটারে কর্মরত ছিলেন, তাদের ওপর পাহাড়সম কাজের চাপ পড়েছে। কেউ কেউ কাজ শেষ করতে অফিসেই দিনরাত পড়ে থাকছেন। তাই পরিস্থিতির গুরত্ব বুঝে ছাঁটাই হওয়া কিছু কর্মীকে ফিরে আসার অনুরোধ করা হয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর চার হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটার কেনেন ইলন মাস্ক। এরপর প্রতিষ্ঠানটি ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেন তিনি। সরিয়ে দেয়া হয় প্রধান নির্বাহী (সিইও) পরাগ আগারওয়াল, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সিগাল, আইন ও নীতিমালাবিষয়ক প্রধান বিজয়া গাড্ডেকে। প্রতিষ্ঠানটি থেকে পদত্যাগ করেন টুইটার বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ব্রেট টেলর, প্রধান গ্রাহক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞাপন কমকর্তা সারাহ পারসোনেট, চিফ পিপল অ্যান্ড ডাইভারসিটি কর্মকর্তা ডালানা ব্র্যান্ড, জেনারেল ম্যানেজার নিক ক্যাল্ডওয়েল, প্রধান মার্কেটিং কর্মকর্তা লেসলি বার্ল্যান্ড, টুইটারের হেড অব প্রোডাক্ট জে সুলিভান ও গ্লোবাল সেলসের ভাইস প্রেসিডেন্ট জিন-ফিলিপ মাহেউ।
