প্রতিনিধি, (সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টে আহত ছেলের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা করানোর শোকে মারা গেলেন বাবা। বাবার মৃত্যুশোক সহ্য করতে না পেরে মাত্র সাত ঘণ্টার ব্যবধানে মারা গেলেন ছেলেও। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তারা হলেন- দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের রহিমের পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়া (৫৫) ও তার ছেলে খোকন মিয়া (২০)।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৭ অক্টোবর রাতে খোকন মিয়া মোটরসাইকেল এক্সিডেন্টে আহত হন। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, দু’দিন পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন খোকনের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললে খোকনের পরিবার তাকে ঢাকাস্থ ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হন।
খোকনের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন হয় কয়েক লক্ষ টাকা, যা যোগাড় করা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব হয়নি। স্থানীয় বিত্তবান, প্রবাসী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ হতে খোকনের বাবার হাতে কয়েক দফায় কিছু নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়। তবে খোকনকে বাঁচাতে যে পরিমান টাকা প্রয়োজন সেই পরিমান টাকা ব্যয়, যোগাড় করা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব হয়নি। এতে করে খোকনের চিকিৎসার কোন উন্নতি না হওয়ায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন পুনরায় খোকনকে গতকাল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে প্রেরন করেন। সেই শোকে গতকাল সন্ধা ৮ টায় মৃত্যু বরণ করেন তার পিতা আব্দুল জলিল। তার জানাযার সময় ঠিক করা হয় আজ সকাল ৯ টায়।
বাবার মৃত দেহ দাফন শেষ না হতেই পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩ টার দিকে খোকন মারা যান। তাদের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোঁকের ছায়া নেমে এসেছে।