ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট নেই: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও সরবরাহ স্থিতিশীল হবে। এছাড়া দেশে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কোনো তারল্য সংকট নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ। গতকাল সোমবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ডাকা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় তিনি এসব কথা বলেন। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ব্যাংকগুলো এখন তাদের বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল অনুযায়ী এলসি খুলছে এবং ঋণদাতারাও ভবিষ্যতে এলসি খুলবে। গণমাধ্যমে যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে ১২৬ কোটি ডলার এলসি খোলা হয়, যা অক্টোবরে একই সময় ছিল ১২৩ কোটি ডলার। আর পুরো মাসে এ সংখ্যা ছিল ৪৭৪ কোটি ডলার।

তিনি বলেন, কভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন অস্থিরতার মুখোমুখি হচ্ছে। এটি বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে সরবরাহের কিছুটা অভাব তৈরি করেছে। আশা করছি আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে।

লিখিত বক্তব্যে মুখপাত্র বলেন, দেশের জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা অক্ষুণœ রেখে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অগ্রাধিকার খাত এবং প্রয়োজনীয় পণ্য (জ্বালানি, সার ও খাদ্য) আমদানির জন্য খোলা সরকারি এলসি পরিশোধে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার সহায়তা প্রদান করে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ব্যাংকে আমানত প্রসঙ্গে বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংকের আমানত তুলে নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক খবর প্রচারিত হচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা অত্যন্ত সুদৃঢ় অবস্থায় রয়েছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তারল্যের কোনো সংকট নেই। ব্যাংক ব্যবস্থায় বর্তমানে এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তারল্য ঘাটতি সম্পর্কে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সতর্ক করা হয়েছে। যদি কোনো ব্যাংক তারল্য ঘাটতির সম্মুখীন হয়, তবে ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সেই সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গত ৫১ বছরের ইতিহাসে কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়নি।  আশা করছি, আগামী দিনে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না।  তাই জনগণের আমানত ব্যাংকে সুরক্ষিত থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট জমার পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০