সাঘাটায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

আবু সাঈদ ফারুক, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪টি পদে প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমানের বিরুদ্ধে গোপনে প্রায় ২৮ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা ঢাকার মাউশি, ইএমআইএস, রংপুরের ডিডিপিএম, গাইবান্ধার ডিসি, রংপুরের দুদক কার্যালয়, সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সাঘাটা উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ওই নিয়োগ বন্ধ করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান ব্যবস্থাপনা কমিটিকে না জানিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক, নিরাপত্তাকর্মী, নৈশ্য প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরবর্তীতে যেন কোন লোকজন জানতে না পারে সে জন্য গত ২ নভেম্বর রাতের বেলায় উক্ত চারটি পদে ফুলছড়ি পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নামমাত্র নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়। এরপর ওই চার প্রার্থীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গত ৬ নভেম্বর তাদের যোগদানপত্র দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. তৈয়বুর রহমান মৃধা জানান, প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান নিজেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক না হয়ে ওই চার প্রার্থীকে গোপনে নিয়োগ দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক তাকে কোনো কিছু না জানিয়েই নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছেন। এ জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির ৫ জনের মধ্যে ৪ জন এখন পর্যন্ত যোগদানপত্রের রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেননি। ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের সম্মুখ গেটে আমার ওষুধের দোকান রয়েছে। তিনি সারাদিন বিদ্যালয়ের সামনে থেকেও নিয়োগের বিষয়টি কিছুই জানেন না। পরবর্তীতে যাদের নিয়োগের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে, তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিরা জানেন না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান তার বিরুদ্ধে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে শিক্ষক নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি বৈধভাবে পরীক্ষা নিয়েছেন। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কিংবা কোনো সদস্য বা অভিভাবকরা কি মনে করল সেটা তার দেখার বিষয় নয়। তিনি বলেন, যথাযথ নিয়মানুসারে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩ মাস আগেও প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত দুই মাস হলো মাহফুজার বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক দাবি করলেও তিনি বর্তমানে নিজেই এমপিওভুক্ত নন এবং প্রধান শিক্ষক হিসেবে তার কোনো ইনডেক্স নম্বর নেই।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০