নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকসই উন্নয়ন ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করবে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ। কভিড-১৯ মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ। গতকাল অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরড) সচিব এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর যৌথ সভাপতিত্বে যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সšে§লন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক (ইউএনএসডিসিএফ) বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়। ২০২১ সালের নভেম্বরে চালু করা হয়েছে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক। ২০২২ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত এটি চলবে। বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের ১৬টি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের ১৫টি সংস্থার ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি ইউএনএসডিসিএফের ২০২৩ সালের যৌথ কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন করে। যেখানে জাতিসংঘ আগামী বছরের মধ্যে যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করবে তার বিশদ বিবরণ দেয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস এবং ইআরডির সচিব শরিফা খান বক্তব্য দেন। তারা জাতিসংঘ-বাংলাদেশ সহযোগিতার কাঠামোর গুরুত্ব এবং সমর্থনকে শক্তিশালী করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। এ সময় তারা বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মূল কথা হলো কাউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না।
বৈঠকে যেসব বিষয় গুরুত্ব পায় সেগুলো হলোÑ অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন। শোভন চাকরি এবং জীবিকার জন্য বর্ধিত এবং ন্যায়সঙ্গত সুযোগসহ আরও টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে নজর দেয়া। এছাড়া ন্যায়সঙ্গত মানব উন্নয়ন এবং সুস্থতা, মানবিক ক্ষমতা এবং সামাজিক উন্নয়নকে অন্তর্ভুক্ত করে, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা, পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন (ওয়াশ), শিক্ষা ও শিক্ষা, শিশু ও যুব সুরক্ষা, অভিবাসন পরিষেবা এবং সামাজিক সুরক্ষার ঘাটতিগুলো সমাধান করতে হবে। এছাড়া টেকসই, স্বাস্থ্যকর এবং স্থিতিস্থাপক পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তনের স্থিতিস্থাপকতা এবং অভিযোজনে ত্বরান্বিত পদক্ষেপের ওপর বাংলাদেশকে ফোকাস করতে হবে।
গোয়েন লুইস বলেন, বর্তশানে বিশ্বব্যাপী ও বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিপথে একটি সংকটময় সময় চলছে। কভিড মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বিপর্যয়কর জলবায়ু পরিবর্তনÑ এই ত্রিবিধ সংকট বিরাজ করছে। আমরা আজকে যে নীতি পছন্দ করি তা আগামী বছরের জন্য দেশের উন্নয়নের সম্ভাবনা নির্ধারণ করবে। বাংলাদেশে জাতিসংঘ টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কারণ দেশটি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণ করার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের পাঁচ দশকের ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের কথা স্মরণ করে শরিফা খান বলেন, এই কঠিন বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়নে কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে, তা নিশ্চিত করা হচ্ছ্।ে এ জন্য আমাদের অতিরিক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।