শেয়ার বিজ ডেস্ক: নাইজেরিয়ায় মসজিদে হামলা চালিয়ে ১২ জন মুসল্লিকে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। অপহরণ করেছে ১৯ জন মুসল্লিকে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমের প্রত্যন্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গত রোববার দেশটির পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর: রয়টার্স।
স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র গাম্বো ইসাহ বলেন, গত শনিবার মাগরিবের নামাজের সময় কাতসিনা রাজ্যের মাইগামজি গ্রামের একটি মসজিদে হামলা চালানো হয়। গুলি চালিয়ে ইমাম ও অন্য মুসল্লিদের এ হতাহত ও অপহরণের ঘটনা ঘটানো হয়। আমাদের সদস্যদের সেখানে পাঠানো হয়েছে এবং তারা দস্যুদের ধাওয়া করেন। অপহরণকারীদের কাছ থেকে তারা ছয়জন মুসল্লিকে উদ্ধার করতে পেরেছেন। বাকি ১৩ জনকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গোলাগুলিতে দুইজন আহত হয়েছে, তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে দস্যু নামে পরিচিত অপরাধী চক্রের কারণে উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য নাইজেরিয়ার বাসিন্দারা তটস্থ থাকেন। দস্যুরা গ্রামে হামলা চালিয়ে গবাদিপশু নিয়ে যায়, মুক্তিপণের জন্য লোকজনকে অপহরণ করে এবং জিনিসপত্র লুটের পর বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণত অপরাধী চক্রকে মুক্তিপণ দেয়ার পর বন্দিরা ছাড়া পান। চক্রটি বিশাল রুগু বনে আস্তানা গড়ে তুলেছে। বনটি কাতসিনাসহ উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ার চারটি রাজ্যে বিস্তৃত। গত মাসে পার্শ্ববর্তী কাদুনা রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে দস্যুদের একের পর এক হামলায় ১৫ জন নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন।
এ ধরনের সহিংসতা বন্ধে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহাইরি ব্যাপক চাপে রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আট বছর মেয়াদ শেষে আগামী বছর তিনি দায়িত্ব ছাড়তে যাচ্ছেন।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের নিজ রাজ্য কাতসিনার ফুন্তুয়ার বাসিন্দা লাওয়াল হারুনা বলেন, বন্দুকধারীরা মোটরবাইকে মাইগামজি মসজিদে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। তখন প্রাণভয়ে অনেক মুসল্লি পালিয়ে যান। হামলাকারীদের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে ইমামসহ ১২ জন মুসল্লি মারা গেছেন।