নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি মাসে শুরু হতে যাচ্ছে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের তিনটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। আগামী ৯ আগস্ট শুরু হচ্ছে ১৮তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৭, ১২তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিকস শো-২০১৭ এবং ২৮তম ডাই-ক্যাম বাংলাদেশ এক্সপো-২০১৭। কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড বা সেমস্ গ্লোবালের আয়োজনে রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে চার দিনব্যাপী এসব প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
প্রদর্শনীর আয়োজন বিষয়ে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সেমস্ গ্লোবালের গ্রুপ প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির গ্রুপ সিইও এসএস সারোয়ার, সেমস্ বাংলাদেশের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তানভীর কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের তৈরি পোশাক খাতের সর্ববৃহৎ এ প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট শিল্পে ব্যবহƒত প্রায় সব উপকরণ। যন্ত্রপাতি, সুতা-কাপড় ও এসব উৎপাদনের সামগ্রী, ডাইস এবং বিশেষ রাসায়নিক দ্রব্যসহ আরও অনেক পণ্য প্রদর্শন করবে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
এবারের প্রদর্শনীতে বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রায় এক হাজার ১৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এতে প্রায় এক হাজার ৪০০টি স্টলের এসব পণ্য প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া পণ্য ও খাত সম্পর্কে কয়েকটি সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনীগুলো প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রি-রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সবার জন্য উš§ুক্ত থাকবে।
মেহেরুন এন ইসলাম বলেন, টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট শিল্পে সর্ববৃহৎ এ প্রদর্শনীগুলো ভোক্তা এবং উদ্যোগক্তাদের জন্য একটি যুগোপযোগী প্লাটফর্ম। যেখানে কার্যকরী যোগাযোগের মাধ্যমে উদ্যোগক্তারা নতুন নতুন প্রযুক্তি ও সেবার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। ভোক্তা, উদ্যোক্তা, আমদানিকারক ও সরবরাহকারীরা একই আঙিনায় সরাসরি সাক্ষাৎ এবং আলাপচারিতার সুযোগ পাবেন। দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়ে উঠবে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
সেমস্ গ্লোবাল ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বহুজাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। বর্তমানে সংস্থাটি বিশ্বের আটটি দেশে নিজস্ব অফিস পরিচালনা করছে। পাশাপাশি আরও ১০টি দেশে অ্যাসোসিয়েট শাখা রয়েছে। প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটি ৪০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে।
Add Comment