নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সাধারণ মানুষকে বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ শিক্ষা বিস্তার সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে বিএসইসি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করে ‘বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট (বিএএসএম)’। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষিত বিনিয়োগকারী ও দক্ষ জনবল গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার দেশের সিলেট জেলায় আগামী ২১ জানুয়ারি ‘বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স, ২০২৩’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিএসইসির উদ্যোগে এ কনফারেন্স আয়োজন করতে যাচ্ছে। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
বিএসইসির আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএসইসির উদ্যোগে ২১ জানুয়ারি ‘বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স, ২০২৩’ সিলেট জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, কনফারেন্সের সঙ্গে পারস্পারিকভাবে একটি বিনিয়োগ শিক্ষামেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলাটি ওইদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে। কনকারেন্সটি সফলভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে আগামী ১৪ থেকে ১৫ জানুয়ারি সিলেট ভ্রমণের (সার্বিক যাচাই, প্রয়োজনীয় প্রাথমিক প্রস্তুতির বিষয়ে পরিদর্শনের) জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়।
গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেনÑবিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রিপন কুমার দেবনাথ (আহ্বায়ক), বিএসইসির পরিচালক মনসুর রহমান, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক হাফিজ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, সিএমএসএফের হেড অব অপারেশন মো. ওয়াছি আজম এবং বিএএসএমের এক্সিকিউটিভ অফিসার মাসুদুর রহমান। কমিটির সদস্যরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী টিএ ডিএ এবং যাবতীয় ভাতা পাবেন।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলায় বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠান বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
এর আগে গত ৩০ জুলাই ময়মনসিংহ বিভাগে বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চলতি বছর বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। জেলা পর্যায়ে মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।