প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত সবুজের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন

প্রতিনিধি, নরসিংদী : বাঁশগাড়ীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত সিফাত উল্লাহ ওরফে সবুজের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আজ সোমবার তার নিজ গ্রামে নিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সিফাত উল্লাহ নিহত হয়। রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের রেজিস্টারে দেওয়া তথ্যমতে, নিহত তরুণের নাম সিফাত উল্লাহ ওরফে সবুজ (২০)। তিনি রায়পুরার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চান্দেরকান্দি গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে। সিফাত বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসান ওরফে জাকিরের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তিনি পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক।

এর আগে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ও বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসানের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে বিদ্ধ হন সিফাত। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন, সিফাত উল্লাহ নামের ওই তরুণকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। বুকের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বাঁশগাড়ি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ও বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

রায়পুরা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই তরুণ নিহত হন। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়েনি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০