প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করার চেষ্টার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর ২৭১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দুপুরে সদর মডেল থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে শনিবার রাতে সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. আল আমিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে ২১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশের দাবি, তারা সবাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী।
এ মামলায় যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা হলেন সোহেল ও মাওলানা ইসমাইল। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক ফারুক নুরনবী, পৌর জামায়াতের সভাপতি আবুল ফারাহ নিশান, জামায়াত নেতা হুমায়ুন কবির, আনাস কামাল, আবু শরীফ, মোহাম্মদ ইয়াকুব, ইলিয়াস, ফারুকসহ ২১ জন।
মামলার এজাহার সূত্র থেকে জানা যায়, সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের পিয়ারাপুর ব্রিজের ওপর লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে আসামিরা শনিবার ভোরে জড়ো হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং সরকারি সম্পদ পিয়ারাপুর ব্রিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের মোবাইলে ধারণকৃত স্থিরচিত্র দেখে এজাহারনামীয় আসামিদের শনাক্ত করা হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন বলেন, জামায়াত-শিবিরের লোকজন জড়ো হয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা সরকারি সম্পদের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেছে। বিস্ফোরক ও নাশকতা ঘটনার মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।