প্রতিনিধি, বগুড়া : বগুড়ায় অবৈধভাবে আড়াই হাজার টন ধান মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে ধান-চালের বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার অভিযোগে মেঘনা গ্রুপের বিরুদ্ধে মজুতদারি আইনে মামলা করা হয়েছে। শনিবার রাতে বগুড়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় মেঘনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফা কামাল ও মেঘনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান তানভীর ফুড লিমিটেডের সিনিয়র ডিজিএম প্রকৌশলী কেতাউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সদর উপজেলার মানিকচক এলাকায় মেঘনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান তানভীর ফুড লিমিটেডের অটোরাইস মিল স্থাপনের কাজ চলমান আছে। সেখানে একাধিক ট্রাকে অবৈধভাবে ধান মজুত করা হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে খাদ্য বিভাগ সেখানে অভিযান চালায়। এ
সময় দুটি গুদাম ও দুটি খোলা জায়গায় ধানের মজুতের সন্ধানসহ একাধিক ট্রাকে ৩৪ হাজার ২৫০ বস্তায় দুই হাজার ৫৬৮ টন ধান অবৈধভাবে মজুত পাওয়া যায়।
শনিবার বিকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাছিম রেজার নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের একটি দল মজুত করা ধান জব্দ করে।
মেঘনা গ্রুপের এ অঙ্গপ্রতিষ্ঠান তানভীর ফুড লিমিটেডের খাদ্যশস্য বা মিল লাইসেন্স ছিল না। কালোবাজারির উদ্দেশ্যে দেশে কৃত্রিমভাবে ধান ও চালের সংকট তৈরির মাধ্যমে বাজার অস্থিতিশীল করার জন্য বিপুল পরিমাণ ধান তারা অবৈধভাবে মজুত করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
বগুড়া সদর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, অবৈধভাবে মজুত করা ধান এরই মধ্যে জব্দ করাসহ তার তালিকা তৈরি হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই আব্দুল মালেক।