নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা তৃতীয়বার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়াকে ‘সৌভাগ্য’ হিসেবে দেখছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে টানা তিনবার দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি, দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।
গত শনিবার আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে দলের নতুন কমিটি নির্বাচন হয়। তাতে টানা দশমবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। আর ওবায়দুল কাদের টানা তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হন।
গতকাল রোববার শেখ হাসিনা নতুন কমিটির সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এটা আমার সৌভাগ্য যে আবার আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পেয়েছি এবং এটা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত। কাউন্সিলরদের চোখের ভাষা মনের ভাষা তিনি বোঝেন। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এই সম্মেলনের নেতৃত্ব নির্বাচিত করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি আমাদের পার্টিতে অপরিহার্য, তার কোনো বিকল্প নেই।”
নির্বাচনের এক বছর বাকি থাকতে এ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটি অপরিবর্তিতই রেখেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণ সম্পাদক পদের মতো কমিটির অন্য পদেও তেমন কোনো পরিবর্তন তিনি আনেননি।
দু-একজন অদলবদল হলেও কোনো নতুন মুখ আসেনি কমিটিতে। দলের গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম সভাপতিমণ্ডলী থেকে বাদ পড়েছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ, রমেশ চন্দ্র সেন ও আব্দুল মান্নান খান। সেখানে এসেছেন আগের কমিটির সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
সম্পাদকমণ্ডলীতে বাদ পড়েছেন বিদায়ী কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, শ্রম ও জনশক্তি-বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক।
শেখ হাসিনা এদিন কার্যনির্বাহী সংসদের ৮১টি পদের জন্য ৪৬ জনের নাম ঘোষণা করেছেন। বাকি নাম পরে ঘোষণা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তেমন কোনো পরিবর্তন যে এবার আসছে না, সে ইঙ্গিত ওবায়দুল কাদের আগেই দিয়েছিলেন। আর সম্মেলনের পর রোববার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচন, বিশ্ব পরিস্থিতি সামনে রেখে আমাদের দেশেও সংকট আছে। জঙ্গিবাদ, সম্প্রদায়িকতা ও বিএনপির নেতৃত্বে সরকার হটানোর আন্দোলনÑএমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ। তা মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অভিজ্ঞদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের সভাপতি।’
তিনি বলেন, গতকাল (শনিবার) জাতীয় সম্মেলন ছিল সুশৃঙ্খল ও স্বতঃস্ফূর্ত। আমাদের পার্টি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ, সেটাই আমাদের সম্মেলনে উপস্থিতিতে প্রমাণিত হয়েছে।”